আগে ছিল পকেটমার। পাঞ্জাবির পকেট এক হাতে ধরে অন্য হাতে বাসের রড এক সময় ছিল এক অতি পরিচিত দৃশ্য। আর এখন লোকে ব্যস্ত মোবাইল থেকে তথ্য চুরি ঠেকাতে। ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং -এর যুগে ওই মোবাইল হল আপনার ম্যানিব্যাগ। তাতে ভরা নগদ। দোকানে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করছেন, হাত বদল করছে টাকা, জিনিস ভরছেন ব্যাগে আর বাজার শেষে ফিরছেন বাড়ি। আর ওই ফোনেই আসছে সেই কল যা আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে।আর আপনার রাতের ঘুমও যাতে নষ্ট না হয় তা দেখতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে বাঁচার পথ।
আসুন দেখে নেওয়া যাক:
- আপনার অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য ফোনে কাউকে দেবেন না। এমনকী ব্যাঙ্কের অফিসারদেরও নয়। ওটিপি বা এটিএম পিন তো নয়ই।
- ফোনে কেউ যদি আপনার কেওয়াইসি-র জন্য তথ্য চায়, বলে যে না হলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে তা হলে তা পাত্তা দেবেন না। আর্থিক সংস্থার ওয়েব সাইটে লগ ইন করে বা সংস্থার দফতরে গিয়ে তথ্য দেবেন। ফোনে নয়।
- টাকা যদি আপনার পাওয়ার থাকে তাহলে তা পেতে কোনও বারকোড স্ক্যান করার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই এমপিন ভরার। যদি কেউ চায় তা হলে জানবেন সে জালিয়াত।
- আপনি যদি কোনও ওটিপি পান আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যাঙ্ককে জানান।
- যদি আপনার ব্যাঙ্ক থেকে এসএমএস আসে টাকা তোলার যা আপনি তোলেননি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
- নিয়মিত ব্যাঙ্ক থেকে আসা বার্তা খেয়াল করুন। না হলে সময়ে জালিয়াতি ঠেকাতে পারবেন না।
- আপনার ডেবিট কার্ডে কত টাকা লেনদেন করতে পারবেন বা তুলতে পারবেন তার সীমা ঠিক করুন দৈনন্দিন গড় চাহিদার ভিত্তিতে। প্রয়োজনে তা বাড়িয়ে আবার কমিয়ে তা গড় প্রয়োজনের সীমায় নিয়ে আসতে ভুলবেন না। এতে যদি জালিয়াতি হয়ও তাতে ক্ষতির অঙ্ক কম থাকবে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।