প্রতীকী ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা পার করেই চাকরি। মাস গেলে এক থোক টাকা। আজকের দ্রুত গতির জীবনে বাজারও হাতের মুঠোয়। তাই উপভোগই শেষ কথা। তাই কি?
আজ থেকে বছর তিরিশেক আগেও সদ্য চাকরিতে ঢোকা যুবকের ঘাড়ে অনেক দায় থাকত। বাড়ি করার, অবসরপ্রাপ্ত বাবা-মার দেখাশোনা। কিন্তু এখনকার প্রজন্মের কাছে সেই দায় কমলেও প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থেকে এগিয়ে যাওয়ার চাপটাও সাংঘাতিক। তাই দায় থাকলেও দায়ের চরিত্র বদলে গিয়েছে। আর তারই সঙ্গে এসেছে এই চাপের মধ্যে নিঃশ্বাস ফেলার নামে টাকা খরচের প্রবণতাও। কিন্তু কেউই ভাবতে রাজি নন যে আজকের এই টাকা খরচ করার প্রবণতা জীবনের শেষ ভাগে গিয়ে কতটা মূল্য চোকাতে বাধ্য করতে পারে।
এর মূলে অবশ্যই রয়েছে আর্থিক অজ্ঞানতা। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এখনও সঞ্চয়ের পাঠ আবশ্যিক নয়। সম্প্রতি কোনও কোনও বোর্ড এই বিষয়টিকে সিলেবাসের অংশ করতে এগিয়ে এলেও সে ভাবে এখনও তা ছড়িয়ে পড়েনি। আর তার ফলে সঞ্চয়ের অভ্যাসটা ছোটবেলা থেকেই আমাদের মজ্জায় ঢোকে না। যেটুকু আমরা দেখি তা যতটা না নিয়ম তার থেকেও অনেক বেশি ব্যতিক্রম।
আর সঞ্চয়ের নানান দিক নিয়ে প্রশিক্ষণের অভাবেই কিন্তু আজ প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে আর্থিক সমস্যা একটি চিন্তার বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই কর্মজীবন শুরু করার দিন থেকেই নজর দিন এই দিকে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।