ফাইল চিত্র
না। আপনার বয়স ১৮ থেকে ৫৪ হলে এ সুযোগ আপনার জন্য নয়। কিন্তু ৫৫ হলে শর্ত সাপেক্ষে আপনিও বিনিয়োগ করতে পারেন ‘সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম’-এ। আর প্রবীণ হলে তো কথাই নেই। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই সঞ্চয় প্রকল্পের নানান দিক।
কার জন্য এই প্রকল্প?
১) আপনার যদি ৬০ বছর বয়স হয়ে গিয়ে থাকে।
২) আপনার বয়স ৫৫ এবং আপনি স্বেচ্ছাবসর নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে অবসর বাবদ টাকা হাতে আসার এক মাসের মধ্যে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে।
৩) অবসরপ্রাপ্ত সুরক্ষা কর্মী। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ৫০ হতে হবে।
বিনিয়োগের কোনও ঊর্ধ্বসীমা আছে কি?
অবশ্যই। কোনও অবস্থাতেই আপনি ১৫ লক্ষ টাকার উপর বিনিয়োগ করতে পারবেন না। বিনিয়োগ করতে হবে ১ হাজার টাকার গুণিতকে। বিনিয়োগের অঙ্ক অবসর বাবদ পাওয়া অঙ্কের থেকে কখনওই বেশি হতে পারবে না। এক কথায় এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হলে ১৫ লক্ষ টাকা বা অবসরকালীন পাওয়া টাকার মধ্যে যেটা কম, সেটাই হবে আপনার এই প্রকল্পে বিনিয়োগের সীমা।
এই প্রকল্পে বিনিয়োগের সুবিধা
১) ঝুঁকিহীন সরকারি প্রকল্প।
২) এই প্রকল্পে টাকা রাখা সহজ। যে ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা আছে সেখানেই খোলা যায়। পোস্ট অফিসেও খুলতে পারেন এই অ্যাকাউন্ট। আর মস্ত সুবিধা হল, এই অ্যাকাউন্ট দেশের যেখানে খুশি সরিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
৩) বাজারে চলতি সুদের হারের থেকে বেশি সুদ পাবেন এই প্রকল্পে।
৪) কর ছাড়ের সুবিধা। টাকা জমা রাখলে আয়কর আইনের ৮০-সি ধারায় কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
৫) এই প্রকল্পে পাঁচ বছরের জন্য টাকা রাখা যায়। ইচ্ছা হলে তারপরে এই সুবিধা আরও তিন বছর পেতে পারেন।
অ্যাকাউন্ট খুলতে কী লাগে
১) ফর্ম-এ ভর্তি করুন।
২) প্যান কার্ড লাগবে। সচিত্র পরিচয়পত্র হিসাবে যেসব সরকারি কাগজ গ্রাহ্য তার মধ্যে প্যান কার্ড-ও আছে। যেহেতু কেওয়াইসি-তে এখন প্যান কার্ড দিতেই হয়, তাই না হয় প্যান কার্ডই দিলেন।
৩) আধারের মতো ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে নথি।
৪) বয়সের প্রমাণ।
৫) পাসপোর্ট সাইজের ছবি।