প্রতীকী ছবি
মিউচুয়াল ফান্ডের নাম শুনলে বেশ কিছু বছর আগে পর্যন্তও ধাক্কা খেতেন ছাপোষা মধ্যবিত্ত বাঙালি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাবনা বদলেছে। এখন আবার অনেক ক্ষেত্রে ছবিটা উল্টো। তৈরি হয়েছে কারণে-অকারণে ফান্ড কিনে ফেলার প্রবণতা। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। নির্দিষ্ট একটা উদ্দেশ্য নিয়ে তবেই পুঁজি ঢালতে হবে। উদ্দেশ্যহীন ভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে শেষে দেখা যায় যে, লাভের-লাভ কিছুই হয় না। তা ছাড়া, উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট থাকলে বিনিয়োগের জন্য সঠিক ফান্ড বাছাই করতেও সুবিধা হয়।
মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা লগ্নি করার সময়ে বিনিয়োগকারীদের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। পছন্দ মতো মিউচুয়াল ফান্ড বেছে নেওয়াটা কিন্তু আপনার দায়িত্ব।
বিনিয়োগের উদ্দেশ্য: স্বল্পমেয়াদী না দীর্ঘমেয়াদী, কী উদ্দেশ্যে টাকা লগ্নি করতে চাইছি, কতটা রিটার্ন চাইছি এবং কতটা ঝুঁকি বহন করতে পারব-- মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময়ে এই বিষয়গুলি ভেবে রাখা দরকার। লিক্যুইড ফান্ড সাধারণত স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের জন্যই ব্যবহার করা উচিত। আর দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইক্যুইটি ফান্ডই বিনিয়োগের সবচেয়ে ভাল উপায়।
ফান্ড ম্যানেজার: অনেকেই ফান্ড ম্যানেজার খোঁজার সময়ে ‘আলফা’ নামের একটি শব্দের মুখোমুখি হতে পারেন। এই আলফার নিরিখেই ম্যানেজারের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ধারণ করা যায়। অর্থাৎ আলফা হল, মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজারের পারফরম্যান্স সূচক। ম্যানেজারের হাতে থাকা ফান্ডে ভাল রিটার্ন এসেছে কি না, তা আলফা রেটিং দেখে বুঝে নেওয়া যায়। যদি আলফা সূচক ‘পজিটিভ’ হয়, তবে বুঝতে হবে যে, ফান্ডে লাভ হয়েছে। আর আলফা সূচক ‘নেগেটিভ’ হলে বুঝতে হবে যে, ফান্ডের পারফরম্যান্স ভাল হয়নি। প্রতি তিন মাস অন্তর এই রেটিং দেওয়া হয়। কোনও ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে ফান্ড ম্যানেজারের আগের কয়েকটি ‘পজিটিভ’ এবং ‘নেগেটিভ’ রেটিং দেখে নেওয়া উচিত।
ফান্ডের পুঁজি: মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করার আগে দেখে নিতে হবে যে, যিনি তহবিলে বিনিয়োগ করছেন, তাঁর পুঁজি যেন মোটা অঙ্কের হয়। অর্থাৎ, ফান্ডের স্থিতিশীলতা যেন ১-২ জন লগ্নিকারীর উপর নির্ভর না করে।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগে একটু এই সংক্রান্ত পড়াশোনা করা প্রয়োজন। আপনি যদি নিজে থেকে মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের বিষয়ে নিশ্চিত না হন, তা হলে বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং আপনার প্রয়োজন বুঝে নিখুঁত মিউচুয়াল ফান্ড স্কিম খুঁজে নিন।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।