প্রতীকী ছবি
এক কথায় বিপর্যয় পরিস্থিতি থেকে বাড়ির সুরক্ষা, সবটাই এর আওতায়। অগ্নিকাণ্ড হোক অথবা চুরির ঘটনা, এই গৃহ বিমাই হয়ে উঠতে পারে আপনার ত্রাতা। অতএব, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাড়ি ও বাড়ির সম্পত্তির সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি। প্রসঙ্গত, গৃহ বিমা ও গৃহ ঋণ দু’টি ভিন্ন বিষয়। তাই এই দুইয়ের মধ্যে বিভ্রান্ত হবেন না।
স্বপ্নের নীড় অথবা নিছক মাথা গোঁজার ঠাঁই, দিনের শেষে এই নিশ্চিন্ত আশ্রয়ই নিয়ে আসে শান্তির ঘুম। নিজের বাড়ি হোক অথবা ভাড়া বাড়ি, সেই আশ্রয় দুর্ঘটনার কবলে পড়লে সাহায্য পেতে পারেন বিমা সংস্থার। তবে তার জন্য হাতে সময় থাকতে গৃহ বিমা করিয়ে ফেলতে হবে। কী ভাবে? জেনে নিন একগুচ্ছ বিমার হদিস।
অভ্যন্তরীণ বিমা
মূলত বাড়ির অভ্যন্তরীণ জিনিসপত্র যেমন গয়না, বৈদ্যুতিন সামগ্রী অথবা মূল্যবান আসবাব যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে সেগুলি এই বিমার আওতায় আসে। ভাড়াটেদের ক্ষেত্রেও এই বিমা প্রযোজ্য।
কাঠামোগত বিমা
স্পষ্টতই, বাড়ির কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে আর্থিক সুরক্ষা মিলবে। চুরি-ডাকাতি বা অন্য কোনও ধরনের হামলার জেরে বাড়ির ছাদ, রান্নাঘর অথবা শৌচাগারের ক্ষতি হলে এই বিমার সুরক্ষা পাওয়া যায়।
অগ্নি বিমা
অগ্নিকাণ্ডের মতো আকস্মিক ঘটনায় এই বিমা একমাত্র উপায়। একাধিক সংস্থায় এই বিশেষ ধরনের পলিসি পেতে পারেন। তবে মাথায় রাখা প্রয়োজন, বাইরের কোনও অগ্নিকাণ্ড নয়, শুধুমাত্র বাড়িতে আগুনের জন্য ক্ষতি হলে এই বিমার আওতায় আসবে।
সম্পূর্ণ বিমা
সব থেকে লাভদায়ক গৃহ বিমা হিসাবে বিবেচিত। বাড়ির কাঠামো তো বটেই, পাশাপাশি আসবাব-সহ সব কিছুর আর্থিক সুরক্ষা রয়েছে এই বীমার আওতায়। তবে এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা প্রয়োজন, বিমা করার আগে বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়ে থাকলে তা সুরক্ষার আওতায় আসবে না।
এর পর আসা যাক বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটে বিমা প্রসঙ্গে। বাড়িওয়ালার বিমার ক্ষেত্রে আগুন বা কাঠামোগত ক্ষতির হাত থেকে আর্থিক সুরক্ষা পান তাঁরা। অন্য দিকে, ভাড়াটের কোনও জিনিসের ক্ষতি হলে বাড়িওয়ালার বিমা থেকে তার সুরক্ষা পাওয়া যায় না। সুতরাং, ভাড়াটেদের নিজেদের জিনিসের সুরক্ষা খাতে আলাদা প্ল্যান কিনতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।