প্রতীকী চিত্র
লাইফ ইন্সিওরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা এলআইসি সংস্থার শেয়ার দর বুধবারের সকালের ট্রেডে ২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর ফলে বাজারে এই সংস্থার মূলধন পৌঁছেছে ৫.৮ লক্ষ কোটি টাকায়। ৫২ সপ্তাহে ৯১৯.৪৫ টাকা প্রতি শেয়ারের নজির গড়ল এলআইসি। আর এতেই সংস্থার বাজারের মূলধন ছাড়িয়ে গেল এসবিআই বা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। কান ঘেঁষে মাত্র ১%-এর জন্য এসবিআই নিজের সিংহাসন হারাল, যখন এই সংস্থার মূলধনের অঙ্ক শেয়ার বাজারে নেমে এসেছিল ৫.৬২ লক্ষ কোটি টাকায়।
গত বছর নভেম্বর মাস থেকেই এলআইসি-র শেয়ার দর উর্ধ্বমুখী ছিল। এই কয়েক মাসের মধ্যেই ৫০% দর বেড়েছে এলআইসি-র!
লিস্টিং হয়ে যাওয়ার পরে গত বছর মার্চ মাসে যদিও এলআইসি-র শেয়ার দর চোখে পড়ার মতো কমে গিয়েছিল। শেষে ৫৩০ টাকায় থিতু হয়ে দুশ্চিন্তার নজির গড়েছিল এলআইসি। তবে সকলকে চমকে দিয়েই কার্যত ঘুরে দাঁড়াল এই সংস্থার শেয়ার দর। পরবর্তী মাসগুলিতে আবারও শেয়ার দরের উর্ধ্বমুখী গ্রাফ! নভেম্বর মাসে তা আশাতীত ভাবে বেড়ে হয়েছিল ১২.৮৩%।
পরবর্তী ডিসেম্বর মাসে সেই ধারা আরও বেড়ে ছুঁয়েছিল ২২.৬৬%-এর ঘর। চলতি বছরের শুরু থেকেই ১০%-এর শক্তপোক্ত হারে এগোচ্ছে সংস্থার শেয়ার দর। বিশেষজ্ঞেরা অনেকে ভরসা রেখেছিলেন এলআইসি-র উপরে। জানুয়ারি পড়তেই সেন্ট্রাল ব্রোকিং জানিয়েছিল-- এলআইসি নিজের দরের উপর ছাড় দিয়ে শেয়ার কেনাবেচা চালাচ্ছে, যার ফলে দামের দিক থেকে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন ক্রেতারা। কিউ১-এর ফলাফল অনুযায়ী এলআইসি এখনও বড় খেলোয়াড়। মাঠে থাকা অন্যান্য সংস্থার থেকে আকারে বড় হলেও এখনও এর শেয়ারের ধরন যথেষ্ট আকর্ষণীয়। সংস্থার ধাঁচে নিয়মিত পার বা নন-পার ব্যবসার কথা মাথায় রেখে যে বদল আনা হয়, তা এলআইসি-র শেয়ারকে আরও লাভজনক করে তুলতে পারে। পার ব্যবসা বলতে, জীবন বিমায় অংশ নেয় এমন একটি পরিকল্পনা। এতে কোম্পানি বা সংস্থার লাভ জীবন বিমার অধীনে থাকতে পারে।
আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, গুণমান যোগ করার ক্ষেত্রে নন-পার অংশের জুড়ি নেই। এতে এলআইসি-র মার্জিনও বেড়ে যায় অনেকটা।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।