Life insurance tips

জীবন বিমার ব্যকরণ থাকুক আপনার হাতের মুঠোয়

যতই আলস্য আসুক বা মনে হোক আগামী মাসেই জীবন বিমা করব, আগামীর ভরসায় না থেকে আজই বিমা করিয়ে নেওয়া দরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৪
Share:

প্রতীকী চিত্র

চাকরি জীবনের শুরুর দিকে অনেকেই জীবন বিমা, সঞ্চয় বা দূর ভবিষ্যতের চিন্তা নিয়ে মাথা ঘামান না। তাতে আখেরে লাভ তো হয়ই না, বরং বেশি বয়সে গিয়ে নতুন পরিকল্পনা করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই যতই আলস্য আসুক বা মনে হোক আগামী মাসেই জীবন বিমা করব, আগামীর ভরসায় না থেকে আজই বিমা করিয়ে নেওয়া দরকার।

Advertisement

কিন্তু কোন জীবন বিমা আপনার জন্য ঠিক? আর কোন বিমা প্রকল্পে গেলে তবেই আপনি ভাল রিটার্ন পাবেন? এই সব কিছুরই রয়েছে সহজ কিছু পথ। যেমন-

১। চিনে নিন কোন বিমা দরকারি

Advertisement

বিমা কেনার সময়ে যে বিষয়টি মাথায় রাখা সব থেকে জরুরি, তা হল, আপনার কোন কোন বিষয়কে সুরক্ষিত করতে জীবন বিমা দরকার। যদি পরিবারের আর্থিক সুরক্ষাই আসল লক্ষ্য হয়, তা হলে বেছে নিতে পারেন টার্ম ইন্সিওরেন্স প্রকল্প। এতে আপনি কভারেজ পাবেন বেশি, অথচ পকেটেও সমস্যা হবে না।

আবার যদি সন্তানের পড়াশোনার জন্য বা নিজের স্বপ্নের বাড়ি কেনার জন্য বিমা নিতে চান, তা হলে ইউনিট-লিঙ্কড বিমা প্রকল্প বেছে নিন। অবসর পরবর্তী জীবন খুব সহজে কাটাতে চাইলে অবসর প্রকল্পও বেছে নিতে পারেন।

২। বিমার পরিমাণ কত হওয়া দরকার হিসাব কষে নিন

আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবন বিমা এক জন মানুষের বার্ষিক আয়ের অন্তত ১০ থেকে ১৫ গুণ বেশি হওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, যদি আপনি ঋণ নিয়ে থাকেন, তা হলে মাসে কত ইএমআই দিতে হচ্ছে, তা ভেবে দেখুন। এ ছাড়াও সন্তানের পড়াশোনা, বিয়ে ইত্যাদির মতো বড় খরচ ভেবে নিয়ে তবেই জীবন বিমা বেছে নিন।

তাই নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অবশ্যই যাচাই করে তবে এগোন-

• আপনার পরিবারের বার্ষিক আয়ের সঙ্গে কত বছরের আয়ের সমান টাকা আপনার দরকার হবে, সেই হিসাব।

• সুদে-আসলে আপনার মোট ঋণ কত এবং কোনও বন্ধক থাকলে তা মিটিয়ে আপনার কত টাকা খরচ হবে, সেই হিসাব।

• সন্তানের লেখাপড়া ও বিয়ে ইত্যাদির জন্য আপনার কত টাকা দরকার হবে, তার আনুমানিক অঙ্ক।

৩। প্রিমিয়ামের হালহকিকত-

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই হিসাব করে নিতে পারবেন যে প্রিমিয়াম বাবদ আপনি কত টাকা দিতে পারবেন, বা কত টাকা আপনাকে দিতে হবেই। নানা বিমা সংস্থার নানা রকমের বিমা প্রকল্প রয়েছে। তাদের মধ্যে তুলনা করে দেখুন আপনার জন্য কোনটা সব থেকে লাভজনক ও পকেটসই। আগামী বছরে আপনার আয় কত থাকবে এবং কোন বিমায় আপনি সবচেয়ে বেশি কভারেজ পাবেন, এই পুরো সংখ্যার উপর হিসাব করে দেখে নিন কোন বিমা আপনি নিতে পারেন।

৪। পলিসি টার্ম বুঝে নিন-

আপনার পরিবার আর্থিক ভাবে কত বছর আপনার উপর নির্ভরশীল থাকবে, তার উপর ভিত্তি করে টার্ম পলিসি বেছে নিন। সবথেকে সহজ উপায়ে আপনি এই সময় বার করে নিতে পারেন, যে বয়সে আপনি অবসর নেবেন বা স্থায়ী আয়ের পথ থেকে সরে আসবেন, সেই বয়স অবধি অবশ্যই টার্ম পলিসি বাছুন।

৫। কোন সংস্থা থেকে বিমা করাবেন দেখে নিন-

যে বিমা সংস্থাগুলির ক্লেম সেটলমেন্ট রেশিও বা সিএসআর বিগত বছরগুলিতে ৯৫%-এর উপরে রয়েছে, সেই সংস্থার বিমা নিয়ে আপনি এগোতে পারেন। সিএসআর আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে যে একটি সংস্থায় কতগুলি ক্লেম এসেছে সারা বছরে এবং তার মধ্যে ক্লেম মিটেছে মোট কতগুলির, এবং সাফল্যের হার কেমন। এর জন্য আপনি ইন্সিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএআই) ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। আপডেট হওয়া ভারতের বিভিন্ন বিমা সংস্থার সিএসআর আপনি দেখতে পাবেন এখানে। ক্রেতাদের রিভিউ ও বোঝাপড়া সবটাই দেখে নিতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে।


বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement