সম্প্রতি কড়েয়া মুক্তধারা শিল্পীগোষ্ঠীর সপ্তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি হয়ে গেল শিশির মঞ্চে। শুরুতেই ছিল নৃত্য-গীতিআলেখ্য ‘মনে রেখো মোর গান’। সলিল চৌধুরী, ভূপেন হাজরিকা ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন গানের সংকলন। গানে অংশ নিয়েছিল মুক্তধারার শিল্পীরা। পরিচালনায় ছিলেন নমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নৃত্যে ছিলেন উর্মিলা ও কৌশিক চক্রবর্তী। পরিচালনায় উর্মিলা ভৌমিক। পরে মঞ্চস্থ হয় প্রণতি ঠাকুরের পরিচালনায় সূর্যাবর্তের শ্রুতি নাটক ‘অবাঞ্ছিত’। অভিনয়ে প্রত্যেকেই দক্ষ।
তাঁর কথা ভেবে
কত্থক সম্রাজ্ঞী সীতারা দেবী-র মৃত্যু বার্ষিকী স্মরণে কালিন্দীর দর্পণ আয়োজন করেছিল এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভারতের ধ্রুপদী সংস্কৃতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। এ অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি সীতারা দেবী-র পৌত্র কত্থক বেনারস ঘরানার বিশাল কৃষ্ণর কত্থক নৃত্য।
রবিরাগ অনুরাগ
সম্প্রতি ‘রবিরােগ-অনুরাগে’র অনুষ্ঠানে ছিল রবীন্দ্রগান ও সরোদ-বাদন। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন সুদেষ্ণা সান্যাল রুদ্র। কণ্ঠমাধুর্য ও পরিশীলিত পরিবেশনায় শিল্পী গাইলেন ‘দীপ নিবে গেছে মম’, ‘এসো আমার ঘরে এসো’। দুটি গান-ই ছিল এ দিনের সেরা প্রাপ্তি। এর পরে আরও কয়েকটি গান শুনিয়ে তিনি শ্রোতাদের অভিনন্দন কুড়োলেন।
সরোদে ছিলেন রাজীব চক্রবর্তী। নির্বাচিত কিছু রবিঠাকুরের গানের মুখবন্ধে আশ্রিত রাগের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এবং তা পরিবেশনে রাজীব নজর কাড়লেন।