ছুটিতে মহারাষ্ট্র বেড়াতে গিয়ে বেড়ানোই মাটি। ওখানকার ‘ড্রাই ওয়েদারে’ মাড়ি ফুলে ঢোল। সঙ্গে যন্ত্রণা।
উ: দাঁত নিয়ে কম-বেশি সমস্যা থাকলে বাইরে কোথাও যাওয়ার আগে ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন।
কিন্তু তার পরেও তো হতে পারে। তখন অচেনা জায়গায় কী করব?
উ: প্যারাসিটামল সঙ্গে থাকলে সেটা খেয়ে নেবেন। আর যদি দেখেন একটানা সমস্যা রয়েই গেছে, তবে দাঁতের একটা এক্সরে করে আপনার ডাক্তারকে ওয়াটসঅ্যাপ বা মেল করে সেটা পাঠান। সমস্যা বুঝে পরামর্শ দেওয়া যাবে।
বাইরে বেড়াতে গিয়েও এক্সরে?
উ: দরকারে তো করতেই হবে।
এ সব করা বেশ সময়-সাপেক্ষ। সেই সুযোগও থাকে না। চটজলদি কিছু করা যায় না?
উ: ব্যথার জায়গায় তুলোয় লবঙ্গের তেল লাগিয়ে দিলে আরাম মিলবে। তবে খেয়াল রাখবেন ব্যথার জায়গাটুকুতেই যেন লবঙ্গের তেলটা লাগে। আশপাশে লাগলে জায়গাটা পুড়ে যেতে পারে।
লবঙ্গের তেল যদি না পাই?
উ: তুলোয় স্যাভলন লাগিয়ে ব্যথার জায়গায় লাগান। তাতেই হবে।
তার মানে বাইরে বেড়াতে গেলে লবঙ্গের তেল, স্যাভলন সব কিছুই নিয়ে যেতে হবে?
উ: এ ছাড়া উপায় কী! তা ছাড়া আরও একটা উপায় আছে। ভাল করে ব্রাশ করলেও কিন্তু ব্যথা কমে যেতে পারে।
ব্রাশ করলে ব্যথা কমবে?
উ: হ্যা।ঁ সেই সময় ভাল করে ব্রাশ করে নিলে আর দরকারে টুথপিক দিয়ে খাবার বের করে দিলে তখনকার মতো কিন্তু ব্যথা কমতে পারে। মাংস জাতীয় কিছু খেলে টুথপিক ব্যবহার করবেন।
কথায় কথায় ওষুধ আর ডাক্তার একেবারে ভাল লাগে না।
উ: তার জন্য দাঁতটা ঠিক করে নিয়মিত মাজুন। খুব সত্যি কথা হল, ঠিক মতো মাজা হয় না বলেই কিন্তু দাঁতে এত সমস্যা।
দাঁত তো রোজই মাজছি
উ: সবাই মাজে। কিন্তু সেই মাজায় খুব ভুল থেকে যায়। খাবার জমে ইনফেকশন হয়ে মাড়ি ফুলে যায়। তখনই প্রচণ্ড যন্ত্রণা।
লাঞ্চ তো অফিসে করি। তা হলে তো পেস্ট-ব্রাশ সঙ্গে রাখতে হবে!
উ: যে কোনও ভারী কিছু খাওয়ার পর ব্রাশ করা দরকার। বাইরে ব্রাশ করা সম্ভব না হলে ভাল করে কুলকুচো করে ফেলুন। বাচ্চাদেরও এই অভ্যাসটা করাবেন।
অত ছোট বয়সেও দাঁতের সমস্যা?
উ: অনেক বেশি হয়। বাচ্চাদের দাঁত নরম। তাই ক্যাভিটি বেশি হয়। খেতে অসুবিধে হয়। তাই পরের দাঁত আসতে সমস্যা হয়। আর বাচ্চারা খুব বেশি চকলেট খায়। এক বার খেলে চকলেট অন্তত ৪০ মিনিট দাঁতের গোড়ায় আটকে থাকে। সে জন্য চকলেট খাওয়ার পরই বাচ্চাদের কুলকুচো করা অভ্যাস করে ফেলুন।
টুথপিক রোজ ব্যবহার করব?
উ: একদম না। বিশেষ করে কমবয়সিরা। বয়স বাড়লে দাঁতের মাঝে ফাঁক তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে টুথপিকের। কারণ মাঝেসাঝেই দাঁতের গোড়ায় খাবার ঢুকে যায়। তবে কাঠি টুথপিক একদম ব্যবহার করবেন না। পলিথিন টুথপিক ব্যবহার করবেন। ওটা ভাঙে না। আর ব্যবহারের পর ডেটল বা স্যাভলনে ধুয়ে নিলে একটা টুথপিক এক মাস ব্যবহার করতে পারেন।
দাঁত ভাল রাখতে আর কী করব?
উ: বছরে এক বার দাঁত পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। দাঁতের মাঝে নানা স্টোন জমে। এর থেকে মুখে দুর্গন্ধ হয়। সে রকম হলে স্টোনগুলো বের করে দিতে হবে।
কত দিন পর পর?
উ: সে রকম নির্দিষ্ট কিছু নেই। কারও স্টোন বেশি হয়, কারও কম। কী রকম স্টোন জমছে, তার ওপর নির্ভর করবে কত দিন পরপর স্টোন পরিষ্কার করবেন। আর সিগারেট, পান, জর্দা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে দাঁতে ছোপ পড়ে। দেখতে বাজে লাগে। সে ক্ষেত্রে স্টোন পরিষ্কার করলে দেখতে ভাল হবে।
যোগাযোগ—৯৮৩১৩২৮২০৭