হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসটাইম মেসেজিং অ্যাপ-এর এই ব্যস্ত জীবনে গান আর কবিতা নিয়ে আড্ডা। কখনও কবিতা ভেঙে গান, আবার কখনও গানের শব্দ নিয়ে কবিতা, যার শিরোনাম ‘দ্য ট্রায়াঙ্গেল’। তিন শিল্পীর মধ্যে কবিতায় শোভনসুন্দর বসু, গানে সাহেব চট্টোপাধ্যায় আর ইমন চক্রবর্তী। ‘নিজেদের জার্নিটা ভাগ করে নিতে চাইছি দর্শকের মধ্যে। অনুষ্ঠানে বরাবর দেখেছি আমরা গান গাই, অভিনয় করি। দর্শকরা সেখানে নির্বাক। এই ফর্মটাকে ভাঙার জন্যেই দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে বাংলা গানের আড্ডা দেওয়ার প্ল্যান করছি আমরা।’ পটলকুমার গানওয়ালার শুটের ফাঁকে বললেন সাহেব চট্টোপাধ্যায়।
মঞ্চে বেশ নতুন ভাবনার প্রতিফলন ঘটবে। যা কফি শপ-এর আদলে। ১৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রসদনে। বাংলা গানের গপ্পো। তাই দর্শকের মধ্যেও থাকবেন আজকের বাংলা গানের শিল্পীরা। শ্রোতার আসনে থাকবেন লোপামুদ্রা মিত্র, সুরজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ। ‘গানের গল্প করতে করতে হয়তো লোপামুদ্রাকে ডেকে নেওয়া হবে মঞ্চে, গানের জন্য। লোপাদি নিজেও জানেন না এখনও’, মজা করে বললেন শোভনসুন্দর। মনে মনে একটা অগোছালো প্ল্যানিং করছেন ইমন। স্বর্ণযুগের গান থেকে আজকের বাংলা গান নানা ফরম্যাটে এসেছে। কবিতা থেকে গান। ব্যাণ্ডে গান, বাংলা ছবির গান সব পর্যায়কে ছুঁয়ে যাবে এই অনুষ্ঠান। ‘জানি না কোনটার পর কী যাবে’, ‘প্রাক্তন’-এর ‘তুমি যাকে ভালবাসো’ গাইতে গাইতে হয়তো রবীন্দ্রনাথের গানে চলে যাবেন তিনি।
সাউন্ডস্কেপ- এর দায়িত্বে থাকছেন কল্যাণ সেন বরাট। এ ছাড়াও থাকছে সেকালের গ্র্যান্ড পিয়ানো, আবার দোতারার সঙ্গে ঝংকারও। ‘পিয়ানোর সুরে রোমান্টিক গানের যে নস্টালজিয়া তাকে আড্ডার মাঝে নিয়ে আসতে চাইছি’, বলছেন সাহেব।
বাংলা গানের বিশাল ক্যানভাসকে আড্ডায় ধরতে চাইছেন এই ত্রয়ী।
বললেন ইমন, ‘‘নির্ভেজাল আড্ডা। তাই ঢাকাই শাড়ি, গোল টিপ, জুঁই ফুলের মালা বা পাঞ্জাবি নয়, একেবারে আড্ডার পোশাকে আসছি।’’