চোখের আলোয়
রবিচ্ছায়ার অনুষ্ঠানে সুদেষ্ণা সান্যাল রুদ্র শোনালেন রবীন্দ্রনাথের কিছু গান। সঙ্গে রত্না মিত্রের রবীন্দ্র কবিতা। শুরুতেই ছিল রত্নার ‘গান দিয়ে যে তোমায় খুঁজি’। পরে সুদেষ্ণা গাইলেন ‘চোখের আলোয় লাগলো জোয়ার’, ‘যদি জানতেম’। ‘আহা তোমার সঙ্গে’ গানটির পরিবেশন প্রশংসনীয়। রত্নার কণ্ঠে যখন শোনা য়ায় ‘আমি দু’হাতে ঢাকিব নগ্ন হৃদয়ের বেদনা, ওগো প্রিয়তম তুমি অভাগীরে করো মার্জনা’, সেই রেশ ধরে সুদেষ্ণার ‘নাই বা ডাকো’ মন কাড়ে।
রঙিন গানে
রঙিন’ গানের দল। মাত্র একজন পুরুষ ও তিন মহিলা শিল্পী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখল বিড়লা অ্যাকাডেমিতে। অনেক গানই সুদীপের নিজেরই লেখা এবং সুর দেওয়া। একক গায়ন তো ছিলই। তাঁর সঙ্গী তিন মহিলা শ্রুতি, মধুমিতা আর শঙ্খমালা। শ্রুতির গলা রোমান্টিক। ‘বাজাও বাজাও রাতের বীণা’। মধুমিতার গলায় লোকজ মেজাজ ‘বুঝিনি সে তুমি যে আমারই’। টপ্পার কারুকাজে আর ভাওয়াইয়ার বিষণ্ণতায় অনবদ্য শঙ্খমালা। এই সব অন্য গানের মধ্যে হঠাৎ মধুমিতা আর শ্রুতির যুগ্ম পরিবেশন ‘বসন্তে ফুল গাঁথল’ — সঠিক লয়, ঝোঁক এবং বসন্তের আনন্দ মাখিয়ে। তেমনই অসাধারণ ওঁদের সমবেত গাওয়া ‘ও রঙিন রাঙালে দিন’। ভোলা যাবে না সুদীপের গাওয়া গানটি ‘মরমিয়া ঘুমিয়ো না বসন্ত দিন পালাচ্ছে’। শিখা বসু
সূক্ষ্ম অনুভূতি
উত্তরণ ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্য পরিবেশন করল সুবর্ণ বণিক সমাজ সভাঘরে। নৃত্য পরিচালনা সরস্বতী দত্ত ও সঙ্গীত পরিচালনায় তীর্থঙ্কর বসু। ‘কমলিকা’-র চরিত্রে সরস্বতীর নিখুত চিত্রায়ণ প্রশংসনীয়। প্রেমের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলিকে দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপিত করলেন বিউটি মণ্ডল, সুরঙ্গনা চক্রবর্তী, রিয়া ভৌমিক, লহনা চট্টোপাধ্যায়। দেবলীনা সেনগুপ্ত ও সুতসোম গুহ-র ভাষ্যপাঠ বেশ নান্দনিক।