ত্বকের যত্ন থেকে স্বাস্থ্যরক্ষা, এমনকি ঘরের সৌন্দর্যবৃদ্ধি— এ সব কিছু সামলাতে অ্যালো ভেরার জুড়ি মেলা ভার। অনেকেই বাড়ির বাগানে তাই অ্যালো ভেরা গাছ লাগাতে পছন্দ করেন। আর পাঁচটা ঘরোয়া গাছের মতোই সামান্য যত্নআত্তি নিলেই অ্যালো ভেরা বেড়ে ওঠে সহজে।
তবে অ্যালো ভেরার ক্ষেত্রে শুরুতেই মনে রাখা দরকার যে, এই জাতীয় গাছ সাকিউলেন্ট বা ক্যাকটাস জাতীয়। অর্থাৎ অল্প জলে, শুকনো আবহাওয়াতেও অ্যালো ভেরা ভাল থাকে। টবে ক্যাকটাস সয়েল অথবা রোজকার সাধারণ মাটি ভরে দিন। খেয়াল রাখুন যেন প্রতিটি টবেই বেশ কয়েকটি করে গর্ত বা ড্রেনেজ হোল থাকে। কারণ মাটি অতিরিক্ত জলধারণ করলে অ্যালো ভেরা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অ্যালো ভেরার সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার অন্যতম শর্ত হল আলো। দিনের উজ্জ্বল আলোর প্রয়োজন হয় এ ক্ষেত্রে। কিন্তু রোদ ঝলসানো আলোয় এই গাছ রাখা মোটেও উচিত নয়। তাই দক্ষিণ কিংবা পশ্চিম দিকের বারান্দা অথবা জানালার ধারে স্বচ্ছন্দে রাখতে পারেন অ্যালো ভেরার টব।
অ্যালো ভেরা যেমন সহজে বাঁচতে পারে, তেমনই খুব তাড়াতাড়ি এই গাছ মরেও যায়। তার প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত জল দেওয়া। এই গাছে জল দেওয়ার প্রধান এবং একমাত্র শর্ত হল— টবের মাটি শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেলে তবেই জল দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকাকালীনই আবার জল দিলে গাছের গোড়ায় জল জমে পচন ধরতে শুরু করবে। অ্যালো ভেরা নিজেদের পাতায় পাতায় অসময়ের জন্য জল জমিয়ে রাখে।
গাছ থাকলেই যে সার দেওয়া বাধ্যতামূলক— এ কথা ঠিক নয়। অ্যালো ভেরা সার ছা়ড়াই দিব্যি বেঁচে থাকে। নেহাতই সার দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলে বছরে মাত্র এক বার সার দেওয়াই শ্রেয়। এবং সেই সময়টাও বসন্তকাল হওয়া জরুরি। সারের ক্ষেত্রে ফসফরাস মেশানো জলীয় সার দেওয়াই ভাল।
হঠাৎ কেটে বা পুড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে কাজে লাগে অ্যালো ভেরা। এ ছাড়া বছরকার রূপচর্চা ও সেই সংক্রান্ত নানা ব্যবহার তো রয়েছেই।
দ্রুত ও অল্প যত্নে বে়ড়ে ওঠা অ্যালো ভেরার জন্য সবচেয়ে দরকারি হল আদর। আপনার স্নেহ-ভালবাসায় কিন্তু যে কোনও গাছই ডালপালা মেলে ধরবে।