‘বধূ’ নাটকে। লিখছেন পিয়ালী দাস
গ্রামের এক কিশোরী মেয়ে। প্রকৃতিই ছিল যার আশ্রয় প্রশ্রয়। অশ্বত্থতলের বাঁধা ঘাটে যে সখীদের সঙ্গে কলসি কাঁখে বাঁকা পথ ধরে জল ভরতে যেত। যেখানে রাখাল বালকেরা সারিবদ্ধভাবে কোনও অজানার উদ্দ্যশ্যে পাড়ি দিত। যেখানে মাঠের বুক চেরা আলপথ দিয়ে হেঁটে গেলে ঘন বনের মধ্যে থেকে ভেসে আসত পাখির কলতান। প্রকৃতির কোলে এমনই পরিবেশে বেড়ে ওঠা মেয়েটিকে খেলার বয়সেই চলে যেতে হল শ্বশুর বাড়ি। শহুরে বদ্ধ পরিবেশে তার দম বন্ধ হয়ে আসে। ঘুরে ফিরেই মনে পড়ে যায় ফেলে আসা রঙিন শৈশবের স্মৃতি। তার মনে হয় ওই বুঝি ডাকছে সখীরা ‘বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল্’। এমনই বিষয়কে অবলম্বন করে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন ‘বধূ’ কবিতাটি। এবার এই কবিতাকে আশ্রয় করেই ‘চণ্ডীতলা প্রম্পটার’-এর প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হল এক অভিনব নাট্য কোলাজ ‘বধূ’। পরিচালনায় প্রিয়াংকা রায়। মুখ্য চরিত্র এবং কোরিওগ্রাফিতেও তিনি। পরিণত অভিনয় এবং নৃত্য আঙ্গিকের সদ্ব্যবহারে প্রাণ পেল ‘বধূ’। রবীন্দ্র গানের ব্যবহার, অভিনয় সহ কবিতার টুকরো টুকরো অংশের পাঠ, মঞ্চসজ্জা (চঞ্চল আচার্য), আবহ (অয়ন রায়), আলো (চন্দন হালদার)-র ব্যবহার মিলেমিশে মঞ্চে ফুটে উঠল নিটোল এক গ্রাম্যজীবনের ছবি। যে গ্রাম্য পথে বাউল (সুভাষ কুণ্ডু) একতারা বাজিয়ে গান গেয়ে চলে যায়। ভাল লাগে সখীদের সঙ্গে আঁখি’র (প্রিয়াংকা) মান অভিমান, খুনসুটির অংশগুলিও। মা (দেবস্মিতা ঘোষ) - মেয়ের পারস্পরিক স্নেহের ভালবাসার চিরন্তন সম্পর্ক ধরা পড়ে, দীর্ঘদিন পর আঁখির সঙ্গে তার মায়ের সাক্ষাতে। সব মিলিয়ে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রযোজনা ছুঁয়ে যায় দর্শক মন।
ট্র্যাজিক পরিণতি
‘কৃষ্ণকলি’ নাটকটি দেখে এলেন মনসিজ মজুমদার
নতুন নাট্যদল মানিকতলা দলছুটের প্রথম প্রযোজনা ‘কৃষ্ণকলি’ (রচনা: কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য, পরি: মিঠু দে) দর্শকমনে দাগ কাটতে পারেনি। পরিচালনায়, নাটকের নির্বাচনে এবং অভিনয়ে আরও সতর্কতা ও সুবিবেচনার প্রয়োজন ছিল।
রাজনৈতিক নেতার (সৃজন চৌধুরী) বউ কালো, তাঁর নির্বাচনী লড়াই কালো মেয়ের সামাজিক অবমাননার বিরুদ্ধে অথচ কালো মেয়ের বাপ হওয়াতে অরুচি। কালো মেয়ে হবার আশঙ্কায় স্ত্রীকে গর্ভপাত করাতে বলায় স্ত্রী গৃহত্যাগ করে একটি বৃদ্ধাশ্রমে চাকরি নেয়। সেখানেই মেয়ের জন্মের পর, পরিত্যক্তা স্ত্রী দুঃখে-কষ্টে আঠারো বছর কাটিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে মেয়ে এক নৃত্যশিল্পী হয়ে ওঠে। আঠারো বছর পরে এক ধলো নারীতে আসক্ত সেই নেতা পরিত্যক্তা স্ত্রী মেয়েকে ফিরে পেতে আকুল। নানা প্রলোভন দেখালেও মা-মেয়ে প্রলুব্ধ হয় না। ট্র্যাজিক নায়কের মতো মঞ্চে সে আছড়ে পড়ে। এমন গল্প মঞ্চে সম্ভব হয় প্রহসনে। সিরিয়াস নাটকে দর্শকের দাবি যুক্তিগ্রাহ্য বাস্তবতার। হালের ঘটনাকে আঠারো বছর আগের ঘটনা বলে চালানো যায় না। যেমন, নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে প্রার্থীর ছবি বা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি, স্মার্ট ফোনের ব্যবহার। এই দুর্বল নাটক হয়তো জোরালো অভিনয়ে তরিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু অভিনয়ে ঘাটতি অনেকটাই। অলি হালদারের নৃত্যশিল্পী কালো মেয়ে নেহাতই নাবালিকা, লাল লিপস্টিক দিয়েও যুবতী করা যায়নি, স্বরক্ষেপেও কুশলতা নেই। মিঠু দের কালো স্ত্রী প্রত্যাশার অনেকটা পূরণ করেছেন। নেতার দ্বিচারিতা, ক্ষমতার আস্ফালন, রাজনৈতিক স্বার্থবোধ বিশ্বাসযোগ্য হলেও শেষ দৃশ্যে তার ট্র্যাজিক পরিণতি যতটা আকস্মিক অভিনয়ও ততটাই অস্বাভাবিক।
শেষ গানের রেশ
বর্ষার আমেজ রবীন্দ্রগানে। সম্প্রতি তন্ময় মুখোপাধ্যায়ের এককে শোনা গেল ২২টি রবীন্দ্রসঙ্গীত। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোনা গেল ‘বাদল দিনের প্রথম’ গানটি। তবে তাঁর গাওয়া গানগুলির মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ‘মনে হল যেন’, ‘আমার যেদিন ভেসে গেছে’, ‘গোধূলি গগনে’ প্রভৃতি। আবেগের তীব্রতা বেশি ছিল ‘আজি ঝড়ের রাতে’ গানটিতে। দ্বিতীয় পর্বে শিল্পী গাইলেন ‘পাগলা হাওয়া’, ‘আজি ঝরঝর মুখর’ সহ বাকি গানগুলি। শেষ করলেন ‘শেষ গানেরই রেশ’ গানটি দিয়ে।
•
সঙ্গীতাচার্য উষারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে এক অনুষ্ঠানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিবেশন করেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। হারমোনিয়ামে তাঁকে সঙ্গত করেন সঞ্চয়িতা মুখোপাধ্যায়। আয়োজক আহীর।
নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি
কিংবদন্তী নৃত্যগুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রসদনে মঞ্চস্থ হল রাজীব ভট্টাচার্য পরিচালিত সৃজনছন্দের নবতম প্রযোজনা ‘রবি করে বিবেকজ্যোতি’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও স্বামী বিবেকানন্দ, এই দুই কর্মযোগী মহাপুরুষের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা, জীবন দর্শন ও মূল্যবোধকে পাথেয় করে ওড়িশি নৃত্য, গীত, বেদ ও উপনিষদের শ্লোকের অপূর্ব মেলবন্ধনে বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের কবল থেকে যুবসম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করা রাজীবের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ। পরিবেশনাটির সূচনালগ্নে ‘খন্তন ভব’ গানটি আধারিত নৃত্যে কুলো, চামর, ধুনো, প্রদীপের ব্যবহার মঞ্চে এক স্বর্গীয় পরিবেশ রচনা করে। ‘জুড়াইতে চাই কোথায় জুড়াই’ গানটির সঙ্গে রাজীবের মুখজ অভিনয় ও ‘একবার তোরা মা বলিয়া ডাক’ গানটির সঙ্গে সুরজিৎ ও সৌমেনের দ্বৈতনৃত্য দর্শক মনে দাগ কাটে। এছাড়া ‘কালী কালী বলোরে’, ‘দুই হৃদয়ের নদী’ গানগুলির মাধ্যমে কোথাও বীর সন্ন্যাসীর সঙ্গে মিলে যায় বিশ্বকবির চেতনা। প্রযোজনাটির অন্তিমলগ্নে স্বামীজির নির্বিকল্প সমাধির দ্যোতক স্বরূপ তাঁর রচিত ‘নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি’ গানটির প্রয়োগ যথার্থ। আবহ সঙ্গীত রচনা করেন সুমন সরকার।
চৈতী ঘোষ
অনুভবের প্রকাশ
কথায়, গল্পে ও গানে রবীন্দ্রনাথের ১৫৬ তম জন্মবার্ষিকী ও পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের ১০৫ তম জন্মবর্ষ উপলক্ষে ‘আনন্দী’র অনুষ্ঠান। সু-তালিমযুক্ত দুটি সম্মেলক গানে সুরটি বেঁধে দিয়ে গেলেন ‘নান্দনিক’ সংস্থার ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বহু নবীন ও প্রবীণ শিল্পী। একক সঙ্গীতের আসরে শুরুতেই লোপামুদ্রা মিত্রর অকৃত্রিম গায়নভঙ্গি এবং অনুভবের প্রকাশে দুটি গানই মর্যাদা মণ্ডিত হয়ে উঠল। শৌনক চট্টোপাধ্যায় শোনালেন জয়প্রকাশ ঘোষ বিরচিত টপ্পা ‘ভাল না বাসিবে যদি’ ও রাবীন্দ্রিক টপ্পা ‘আমার সকল নিয়ে বসে আছি’। দুটি গানই সুপরিবেশিত হলেও দ্বিতীয় গানটি দু একটি জায়গায় স্বরলিপিচ্যুত কিনা প্রশ্ন হয়তো ওঠে কিন্তু সামগ্রিকতার অভিঘাতে সে প্রশ্ন মুছেও যায়। ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য খুবই সুর লাগিয়ে ও অনুভবে গেয়েছেন ‘কৃষ্ণকলি’। বর্ষা বাগচী ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুললেন ‘কৃষ্ণকলি’র দৃষ্টিনন্দন রূপ।
বারীন মজুমদার
হৃদি ভেসে যায়
মুক্তধারা শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজন করেছিল ‘হৃদি ভেসে যায়’। প্রথম পর্বে ছিল ৯টি প্রেম বিষয়ক সম্মেলক গান। দ্বিতীয় পর্বে ছিল রবীন্দ্রগান। পাঠে ছিলেন চৈতালি দাশগুপ্ত, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শেষ হয়, সুছন্দা ঘোষ ও সুজয়ের দ্বৈত-কণ্ঠে ‘একটুকু ছোঁয়া লাগে’।
দুই গল্পের মিলন
সুচিত্রা ভট্টাচার্যের দুটি ছোট গল্প অবলম্বনে শ্রুতিনাটক পরিবেশিত হল প্রতিশ্রুতির প্রযোজনায়। প্রথমটি ছিল ‘ঢেউ আসে ঢেউ যায়’। যার নাট্যরূপ ও পরিচালনায় কাজল সুর। কণ্ঠ বৈচিত্র্যে শ্রুতিনাটকটি অন্য রূপ পায়। প্রশংসনীয় অভিনয়ে কাজল সুর, সুমিত অধিকারী, সুবীর সরকার, বাবলি সাহা। রপশ্রী মৈত্র, স্নিদ্ধা দাস। দ্বিতীয় শ্রুতিনাটক নীলঘূর্ণির নাট্যরূপ রঞ্জনা ভঞ্জ। পরিচালনায় অঞ্জন বিশ্বাস। প্রথমটির মতো দ্বিতীয় শ্রতিনাটকেও সুনাম বজায় রেখেছেন শিল্পীরা। প্রত্যেকেই ভাল অভিনয় করেছেন।
অংশগ্রহণে ছিলেন অঞ্জন বিশ্বাস, সুমিত অধিকারী, অচিন্ত্য দত্ত, রঞ্জনা ভঞ্জ, শ্রেয়া অধিকারী, তপতী অধিকারী, পাপিয়া সেন। আবহে কোয়েল দাশগুপ্ত। সঞ্চালনায় শ্রাবন্তী মৈত্র।
হারানো প্রেমের কথা
থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের আর্থিক সাহায্যার্থে রবীন্দ্রসদনে অনুষ্ঠিত ‘আর্যভ’র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রয়াত অভিষেক দাসের অপ্রকাশিত সিডি প্রকাশ করলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। দ্বিতীয় পর্বে ছিল চিরঞ্জীব গোস্বামীর নাটক ‘হারিয়ে পাওয়া – দ্য মিউজিক্যাল’। যে ভালবাসা হারিয়ে গেছে, তাকেই আবার ফিরে পাওয়া। কিছুটা গীতিআলেখ্য ধরনের এই নাটকে সেলসম্যান অম্লান একটি রেলস্টেশনে বসে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করেন। স্মৃতির ঝাঁপিটা খুলতেই তাঁর মনে পড়ে যায় প্রেমিকা বৃষ্টির কথা, তাঁর ভাবনাতে উঠে আসে হারানো সেই প্রেমের কথা। স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন অম্লান। অম্লান (সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়) এবং বৃষ্টি (পরমা সরকার) যথাযথ। তবে সব্যসাচী চক্রবর্তীর দরাজ গলায় অভিনয় শ্রোতাদের বাকরুদ্ধ করে। নাটকের সঙ্গীত ও নির্দেশনায় ছিলেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ পর্বে ছিল গান ও কবিতার কোলাজ। অংশগ্রহণে শ্রীকান্ত আচার্য, লোপামুদ্রা মিত্র এবং শ্রীজাত। শ্রীকান্ত আচার্য গাইলেন ‘আমার ভিতর বাহিরে’, ‘খাতার ওপর আকাশ ঢেলে দিলাম’, ‘মন খারাপের দিস্তা’ গানগুলি। লোপামুদ্রা মিত্র’র কণ্ঠে জয় সরকারের সুর করা গান ‘ছেলেবেলার বৃষ্টি মনেই’, ‘তুমি শুনো না আমার কথা’, ‘মেঘলা দিন বৃষ্টিহীন’ গানগুলি শ্রোতাদের প্রত্যাশা পূরণ করে। গানের মাঝে শ্রীজাত-র কণ্ঠে কবিতা পাঠ ‘প্রেমের গান’, ‘তোমার কাছে পৌঁছেছিলাম’ কিংবা ‘বর্ষাতি মন’ বেশ লাগে। তবে এ দিনের সেরা প্রাপ্তি শ্রীকান্ত আচার্যের ‘আমার সারাটা দিন মেঘলা আকাশ’ গানটি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মনীষা।
পিনাকী চৌধুরী
দুই গল্পের মিলন
সুচিত্রা ভট্টাচার্যের দুটি ছোট গল্প অবলম্বনে শ্রুতিনাটক পরিবেশিত হল প্রতিশ্রুতির প্রযোজনায়। প্রথমটি ছিল ‘ঢেউ আসে ঢেউ যায়’। যার নাট্যরূপ ও পরিচালনায় কাজল সুর। কণ্ঠ বৈচিত্র্যে শ্রুতিনাটকটি অন্য রূপ পায়। প্রশংসনীয় অভিনয়ে কাজল সুর, সুমিত অধিকারী, সুবীর সরকার, বাবলি সাহা। রপশ্রী মৈত্র, স্নিদ্ধা দাস। দ্বিতীয় শ্রুতিনাটক নীলঘূর্ণির নাট্যরূপ রঞ্জনা ভঞ্জ। পরিচালনায় অঞ্জন বিশ্বাস। প্রথমটির মতো দ্বিতীয় শ্রতিনাটকেও সুনাম বজায় রেখেছেন শিল্পীরা। প্রত্যেকেই ভাল অভিনয় করেছেন।
অংশগ্রহণে ছিলেন অঞ্জন বিশ্বাস, সুমিত অধিকারী, অচিন্ত্য দত্ত, রঞ্জনা ভঞ্জ, শ্রেয়া অধিকারী, তপতী অধিকারী, পাপিয়া সেন। আবহে কোয়েল দাশগুপ্ত। সঞ্চালনায় শ্রাবন্তী মৈত্র।
রকমারি
শেষ গানের রেশ
ত্রিগুনা সেন প্রেক্ষাগৃহে ‘সৃজন’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অতিথিদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। শুরুতেই গান করলেন বাংলাদেশের এস ডি রুবেল, দেবাশিস ভট্টাচার্য, দীপ্তি চন্দ্র। পরে ‘আনন্দধ্বনি’ ও ‘প্রকৃতি’র শিল্পীরাও শোনালেন বেশ কয়েকটি গান। কবিতা পাঠে সুমিতাভ ঘোষাল। সঞ্চালনায় শ্যামা ভট্টাচার্য ও সুবীর হালদার।
আজি প্রণমি তোমারে
সম্প্রতি শিশিরমঞ্চে গান শোনালেন কাকলী দাস। শুরু করলেন রবীন্দ্রনাথের ‘আজি প্রণমি তোমারে চলিব’ দিয়ে।
তার পর একে একে ‘অনেক দিয়েছ নাথ’, ‘আমার ভাঙা পথের রাঙা ধূলায়’, ‘কী করিলি মোহের ছলনে’। এর পর রজনীকান্ত সেন এর ‘শুনাও তোমার অমৃতবাণী’, অতুলপ্রসাদ সেন-এর ‘কে আবার বাজায় বাঁশী’, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর ‘একবার গাল ভরা মা ডাকে!।
প্রাণের মাঝে
সম্প্রতি ইরাবতী বসু এক অনুষ্ঠানে শোনালেন ১০টি রবীন্দ্রসঙ্গীত। শুরু করলেন ‘ওই যে ঝড়ের মেঘে’ গানটি দিয়ে। পরে গাইলেন ‘ফিরে ফিরে আসবে’, ‘আমার প্রাণের মাঝে’, ‘ঝর ঝর বরিষে বারিধারা’ প্রভৃতি গান। এর পরে ছিল সংস্থার নৃত্যানুষ্ঠান