মহাজাতি সদনে গান শুনলেন শিখা বসু
তিনি চলে গিয়েছেন মাত্র আটান্ন বছর বয়সেই। মহাজাতি সদনে কিশোরকুমারের সাতাশি বছরের জন্মদিনে ‘তোমায় পড়েছে মনে’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তাঁরই গাওয়া গান বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, তিনি বেঁচে থাকলে আরও কত না গান আমরা উপহার পেতাম। এ এক অন্য অনুভূতি। এমন দিনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা কত কিছু মনে করিয়ে দেয়।
শিবাজী চট্টোপাধ্যায় ও অরুন্ধতী হোমচৌধুরীর দ্বৈত কণ্ঠে ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায়’ অনবদ্য। রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের ‘তারে আমি চোখে দেখিনি’, বাবুল সুপ্রিয়ের ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, রূপঙ্করের ‘এই যে নদী’, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভালবাসা ছাড়া আর আছে কি’ অপূর্ব গায়কিতে অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা এনে দেয়। মনে থাকবে ‘তোমায় পড়েছে মনে’ স্বাক্ষর বসুর গানটি। স্পর্শ, থিজম – এর এই অনুষ্ঠানে এবং ভোলা ভট্টাচার্য ও পার্থ সাহা-র যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের আমন্ত্রণ জানানো এবং গান নির্বাচনে বেশ বৈচিত্র ছিল। অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে সৈকত মিত্র, গৌতম ঘোষ, শম্পা কুণ্ডু, প্রতীক চৌধুরী, ঊষা উত্থুপ উল্লেখযোগ্য। নবীনদের মধ্যে সুনাম রেখেছেন সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, অরিজিৎ চক্রবর্তী, সুমনা চক্রবর্তী প্রমুখ।
কবিতার ভাষা
সম্প্রতি ‘আভা সিংহ স্মারক সাহিত্য বাসর’-এর আয়োজনে ‘ভনয়ে কবি জয়দেব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আলোচক ছিলেন সুমন গুন, তুষার কান্তি রায়, সঞ্জয় সিংহ। আলোচনায় উঠে এল জয়দেব বসুর বিভিন্ন কবিতায় উঠে আসা যুদ্ধ-দাঙ্গায় প্রাণ হারানো মানুষ, অন্ত্যজ মানুষের কথা। এদিন বৃন্দগান পরিবেশন করলেন রমা চক্রবর্তী, রীণা চট্টোপাধ্যায়, বিভা পাল, সন্ধ্যা উপাধ্যায় প্রমুখ। কবির স্বরচিত কবিতা পাঠে ছিলেন অলকা চক্রবর্তী, তারা বসু প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন সংযুক্তা সিংহ এবং দেবব্রত নাহা।
পিয়ালী দাস
রাগিণী বর্ষা
সম্প্রতি মহাজাতি সদনে রূপমঞ্জরীর সূচনা হয় মূর্ছনার সমবেত সঙ্গীতে। একক রবীন্দ্রগানে তনুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তিমির অবগুণ্ঠনে’, অরুন্ধতী চট্টোপাধ্যায়ের ‘নীল অঞ্জন ঘন’ মনোগ্রাহী পরিবেশন। অর্ণব বসু শোনালেন নজরুলগীতি ‘বাগিচায় বুলবুলি তুই’। শঙ্করলাল ভট্টাচার্য রচিত রবীন্দ্রগানে বর্ষার রাগ বিষয়ক ‘রাগিনী বর্ষা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের গানে ছিলেন ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য ও সেতারে ধ্রুবজ্যোতি চক্রবর্তী। এর পর নজরুল ইসলামের গান ও রচনা অবলম্বনে ‘বিরহী নজরুল’ আলেখ্যতে মঞ্জুষা চক্রবর্তী শোনালেন ‘শাওন রাতে যদি’, ‘হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে’। পাঠে ছিলেন কৌশিক সেন। সব শেষে পরিবেশিত হয় রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য ‘ভুল স্বর্গ’।