শিউলি গাছে যখন কুঁড়ি ধরে, তখন থেকেই শুরু হয় বাঙালির পুজো পুজো ভাব। ওই চার দিনের মধ্যেই সাজানো সারা বছরের আনন্দের ডালি। অভিনেতা দেবের কাছেও ‘‘পুজো মানে উৎসব। আগে ছিল ছুটি, এখন শুধু অবসর। নিজেকে সময় দিতে চাই।’’
প্রত্যেক বছর সপ্তমী থেকে দশমী চারটে দিন পরিবারের সঙ্গেই কাটান তিনি। আর তখন ফ্যাশন নয়, আরামই তাঁর কাছে বিবেচ্য। ধুতি-পাঞ্জাবি, কুর্তা-জোধপুরি প্যান্টস, টি-শার্ট, জিনস সবেতেই তিনি স্বচ্ছন্দ। ডিজ়াইনার ডুয়ো দেব ও নীলের হলুদরঙা পাঞ্জাবিতে যেমন রয়েছে পুজোর ঐতিহ্য, তেমনই আধুনিক পরিভাষাও। চেন ও লেদার ফিনিশ পাঞ্জাবির ইউএসপি। যদিও পোশাকের কাটে রয়েছে সনাতনী ছাপ। চেন খুললে জ্যাকেট হিসেবেও পাঞ্জাবিটি পরা যাবে।
অষ্টমীর অঞ্জলির সঙ্গে ধুতি-পাঞ্জাবির সখ্য আজও অমলিন। তাই পুজোর একটা দিন তোলা থাক ট্র্যাডিশনাল পাঞ্জাবির জন্য। দেবের পরনে আকাশি রঙের পাঞ্জাবিতে সোনালি মোটিফ। তার সঙ্গে সুতির ধুতি চিরকালীন কম্বিনেশন।
প্রিন্ট, মোটিফ, প্যাটার্নে এখন রঙের আলোড়ন। রং নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করায় পুরুষই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? তাই অভিষেক দত্তের বম্বার জ্যাকেটে উজ্জ্বল রঙের ছড়াছড়ি। সঙ্গে ব্লু ডেনিমের যোগ্য সঙ্গত। দেবের কথায়, উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়া যেতেই পারে, তবে তা যেন আরামদায়ক এবং ব্যক্তিত্বের অনুসারী হয়।
বাঙালির কাছে পুজোয় সাজগোজ তো বটেই, খাওয়াদাওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। পুজোর ভোগ জমকালো না হলে শারদোৎসবের আনন্দ ঠিক জমে না। ‘‘খেতে খুবই ভালবাসি। এই ক’টা দিন কোনও কিছুতেই বারণ নেই,’’ জানালেন দেব। খিচুড়ি, পাঁচমিশেলি তরকারি, লম্বা বেগুন ভাজা পুজোর ভোগের পছন্দসই পদ তাঁর। বাকি সময়ে লুচি ও কষা মাংস পেলে আর কিছুই লাগে না খাদ্যরসিক নায়কের। ‘‘এ সময়ে বাড়িতে নিয়মিত অতিথির আসা-যাওয়া লেগে থাকে বলে অনেক মিষ্টি রাখা থাকে। অতিথিরাও মিষ্টি আনেন। আর আমি কারণে-অকারণে টুকটাক মুখে পুরে দিই,’’ মিষ্টি সুরেই নায়কের স্বীকারোক্তি। আর তার পর? ‘‘চরিত্রের প্রয়োজনে নিজের চেহারাকে ঘষামাজা করে নিই,’’ স্বভাবসুলভ মোহময় হাসিতে বললেন দেব।
ছবি: আশিস সাহা; মেকআপ: অরুণ
হেয়ার: মাজিদ; স্টাইলিং: নেহা গাঁধী; ধুতি-পাঞ্জাবি: আনন্দ, রাসেল স্ট্রিট; বম্বার জ্যাকেট: পেরোল বাই অভিষেক দত্ত; হলুদ পাঞ্জাবি ও চোস্ত: দেব আর নীল; জুতো: রোহন অরোরা;
ফুড পার্টনার: বেঙ্গল লাউঞ্জ
লোকেশন ও হসপিটালিটি পার্টনার: রাজকুটির