নিজের ফ্ল্যাট কেনার পরেই মনে হয়, দেওয়ালগুলো মনের মতো রঙে সাজাই। অনেক রঙের তালিকা দেখে, বেছে সাধের রং দিয়ে দেওয়াল রাঙাই। কিন্তু তার পরেও ঘরগুলো কেমন যেন ফিকে লাগে। ঘরের রং ক’দিন বাদেই একঘেয়ে লাগতে শুরু করে। আর আমাদের অনেকের বাড়িতেই একটা রং দিয়েই ঘরের সব দেওয়াল রং করা হয়। সে ক্ষেত্রে একঘেয়েমি আসে তাড়াতাড়ি। এ বার পালা এই মোনোক্রোম বা একঘেয়েমি ভাঙার। দেওয়ালের রং তো তোলা যাবে না। বরং ঘরের অন্যান্য জিনিসে মানানসই রং যদি সংযোজন করা যায়, তা হলেই কাজটা হয়ে যাবে। কী ভাবে হবে, সেটাই দেখার পালা।
প্রথমেই আসবাবের কথা মাথায় রাখব। ঘরের রঙের সঙ্গে কনট্রাস্ট রঙের আসবাব বানাতে হবে।
আসবাব কাঠের হলে ঘরের রঙের সঙ্গে মানানসই রঙের পালিশ বাছতে হবে। তাতেও একঘেয়েমি না কাটলে মানানসই রঙের পর্দা, বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কুশনের কভার বাছতে হবে।
আলো কিন্তু এ বিষয়ে খুব সাহায্য করে। ঘরের মোনোক্রোম ভাঙতে আলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এখন বিভিন্ন ঝোলানো আলো কিনতে পাওয়া যায়। সলিড রঙের আর্বান লাইট থেকে শুরু করে রাজস্থানি মাল্টিকালার আলোও অন্দরসজ্জার সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছে।
ঘরের রঙের ক্ষেত্রে ৬০-৩০-১০-এর হিসেবটা মাথায় রাখতে হবে। ঘরের শতকরা ৬০ ভাগের রং হবে দেওয়ালের রং, তার পরের ৩০ ভাগ রং অর্থাৎ আসবাবের রং কনট্রাস্ট করতে হবে দেওয়ালের সঙ্গে। শেষের ১০ ভাগ রং থাকবে কুশন বা পাপোশে। রঙের এই ভাগটা মাথায় রাখলেই সমতা বজায় রাখার কাজটা সহজ হয়ে যায়।
দেওয়ালের সজ্জাতেও ঘরের লুক নির্ভরশীল। তাই ওয়াল হ্যাঙ্গিং বা ছবির রঙিন ফ্রেমও ঘরের ভোল পাল্টে দিতে পারে চোখের নিমেষে।
ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবহার করলে সবুজের ছোঁয়া থাকবে জীবনে।
ঘর সাজানোর নিয়মের বাইরেও থাকে যত্ন। তাই যত্নের সঙ্গে সামান্য ভালবাসা দিয়ে ঘর সাজানোয় একটু সময় দিলেই দেখবেন, রাতারাতি কেমন পাল্টে গিয়েছে অন্দরমহলের চেহারা!