কচুপাতা চিংড়ি
বর্ষার মরশুমে এক দিকে যেমন ইলিশ রয়েছে, ঠিক তেমনই অন্য দিকে রয়েছে চিংড়ি। আষাঢ় মাসের কোনও এক বৃষ্টিমুখর ছুটির দিনে মনকে আরও ভাল করে তুলতে বানিয়ে নিন ‘ভুতের রাজা দিল বর’-এর অভিনব পদ - কচুপাতা চিংড়ি।
উপকরণ:
প্রণালী:
প্রথমে কচু পাতাটি ভাল করে ধুয়ে কুচি করে কেটে নিন। এ বার চিংড়ি মাছে নুন ও হলুদ মাখিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। এ বার কাঁচা লঙ্কা, কাজু বাদাম, পোস্ত, সরষে এবং নারকেল মিশিয়ে মিক্সিতে তৈরি করা পেস্টটি প্যানে দিয়ে চিংড়ি মাছটি সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। স্বাদ মতো নুন ও চিনি দিন। নামানোর কিছুক্ষণ আগে কুচি করা কচু পাতা দিন। গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে এক চামচ সরষের তেল ছড়িয়ে রান্নাটি কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন জিভে জল আনা কচুপাতা চিংড়ি।
বিগত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে মা-ঠাকুমার তৈরি, বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া বাংলার ঐতিহ্যশালী পদকে নব আঙ্গিকে তুলে ধরেছে ‘ভুতের রাজা দিল বর’। ‘কচুপাতা চিংড়ি’ তেমনই একটি ঐতিহ্যশালী পদ। শুধুমাত্র বর্ষাই নয়, সারা বছর ধরেই এই পদের স্বাদ নিতে এই রেস্তরাঁর বিভিন্ন শাখায় প্রতিদিন হাজির হন বহু মানুষ।
এটি একটি সংগৃহীত প্রতিবেদন এবং ‘আষাঢ়ের গল্প’ ফিচারের একটি অংশ।