শ্রাদ্ধবাড়ির খাবারে বিষক্রিয়ায় দাসপুরে অসুস্থ শতাধিক

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন শতাধিক গ্রামবাসী। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ঘটনা। অসুস্থদের দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় বিশেষ মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে দাসপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শহিদ করিম গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর হুতাইতের বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৩০০ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৫ ০২:০৬
Share:

দাসপুরে বিষক্রিয়ার ঘটনার অসুস্থরা ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। —নিজস্ব চিত্র।

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন শতাধিক গ্রামবাসী। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ঘটনা। অসুস্থদের দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় বিশেষ মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে দাসপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শহিদ করিম গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর হুতাইতের বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। সেখানে নিমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৩০০ জন। কিন্তু, ওখানে খাওয়াদাওয়া করে ওই দিন সন্ধ্যা থেকেই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন নিমন্ত্রিতদের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ। শুরু হয় পেটে যন্ত্রণা, পায়খানা ও বমি। তাদের বেশির ভাগকেই প্রথমে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের কয়েক জনকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই দুই হাসপাতালে প্রায় ১০০ জন মানুষ ভর্তি হয়েছেন।

ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরে খবর পৌঁছয়। গ্রামে বেশ কিছু অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। ওই রাতেই মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয় গ্রামে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ওষুধপত্র থেকে স্যালাইন— সব কিছুই দেওয়া হয় অসুস্থদের। দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করে দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

Advertisement

এ দিন সকালে ঘাটাল ও দাসপুর হাসপাতালে অসুস্থদের দেখতে আসেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কপূর, দাসপুর ১-এর বিডিও রোশনি সরকার-সহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রামে আমাদের মেডিক্যাল টিম রয়েছে। সব দিকেই নজর রাখা হয়েছে।” কোন খাবার থেকে বিষক্রিয়া ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা না গেলেও, স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক কর্তার মতে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে দই থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে। গিরীশবাবু জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মহাকুমাশাসক বলেন, “গত কাল সন্ধ্যায় খবর পাওয়ামাত্রই অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। আমরা যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টিকে দেখছি। গ্রামে মেডিক্যাল টিমও পাঠানো হয়েছে।”

এ দিন দুপুর থেকে সুস্থতা বোধ করায় অনেককেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৩০ জন নিজেদের বাড়িতে ফিরেও এসেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement