নিঃসঙ্গ বয়স্কদের রাতে স্বাস্থ্য-সেবা সল্টলেকে

সন্তানেরা থাকেন ভিন্ রাজ্যে বা বিদেশে। প্রয়োজনে কাউকে চটজলদি পাশে পাওয়া তো দূর অস্ত্, শরীর খারাপ হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই মুশকিল। বিশেষত, রাতে সমস্যা আরও জটিল হয়। এমন সমস্যায় পড়া প্রবীণ নাগরিক অসংখ্য। সল্টলেকে প্রবীণদের এই সমস্যা মেটাতে এ বার রাত্রিকালীন স্বাস্থ্য-পরিষেবা দিতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৪ ০২:১০
Share:

সন্তানেরা থাকেন ভিন্ রাজ্যে বা বিদেশে। প্রয়োজনে কাউকে চটজলদি পাশে পাওয়া তো দূর অস্ত্, শরীর খারাপ হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই মুশকিল। বিশেষত, রাতে সমস্যা আরও জটিল হয়।

Advertisement

এমন সমস্যায় পড়া প্রবীণ নাগরিক অসংখ্য। সল্টলেকে প্রবীণদের এই সমস্যা মেটাতে এ বার রাত্রিকালীন স্বাস্থ্য-পরিষেবা দিতে চলেছে বিধাননগর পুরসভা। চালু হতে চলেছে টোল-ফ্রি নম্বর। কেউ অসুস্থ হলে ওই নম্বরে যোগাযোগ করলেই বাড়িতে হাজির হয়ে যাবেন চিকিৎসক, নার্স, অ্যাটেন্ড্যান্ট। প্রয়োজনে অসুস্থকে ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থাও করা হবে।

সম্প্রতি এমনই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, সল্টলেকে প্রবীণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য-পরিষেবা দিতেই এই পরিকল্পনা। অনেকেই আছেন যাঁদের সন্তানেরা বাইরে থাকেন। বাড়িতে কার্যত একাই থাকেন তাঁদের বৃদ্ধ বাবা-মা। অসুস্থ হলে তাঁরা লোকবলের অভাবে সময়ে চিকিৎসা পান না। তাঁদের কথা ভেবেই রাত্রিকালীন পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দ্রুত এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে।

Advertisement

এই পরিকল্পনা কার্যকর করতে সম্প্রতি বিধাননগর পুরভবনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেন পুর-কর্তৃপক্ষ। চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, সকলেই এই ধরনের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এমন পরিকল্পনা সফল করতে তাঁরা সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য-পরিষেবা দিতে চিকিৎসক, আয়া কিংবা অ্যাটেন্ড্যান্টের ব্যবস্থা থাকবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে টোল-ফ্রি নম্বরে যোগাযোগ করা হলেই ওই বিশেষজ্ঞ-দল দ্রুত পৌঁছে যাবে ঘটনাস্থলে। সেখানেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। তাতেও কাজ না হলে প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement