যোগব্যায়াম করে মন অনেক ভাল থাকছে ইমনের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
তাঁর ইনস্টাগ্রামে চোখ বোলালেই বোঝা যাবে যোগ ব্যায়ামে কতটা মজে রয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। শীর্ষাসনের মতো কঠিন আসনও তিনি রপ্ত করে ফেলেছেন মোটে দে়ড় মাসের মধ্যেই। কী করে যোগব্যায়াম বদলে দিল তাঁর জীবন, সেই গল্প শোনালেন ‘আনন্দবাজার অনলাইন’কে।
স্বামী নীলাঞ্জন বহুদিন ধরেই যোগাভ্যাস করেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রাণিত হন ইমন। এ বছর করোনার বাড়বাড়ন্তে মনে হয়েছিল, শুধু শারীরিক ভাবেই নয়, মানসিক ভাবেও নিজেকে ভাল রাখতে হবে। ‘‘যোগাভ্যাস আসলে শুধু শরীরচর্চা নয়। এক ধরনের যাপনও বটে। আমি দেখলাম যোগ ব্যায়াম করে অনেক বেশি ভাল আছি। নিজেকে সুস্থ রাখতে পারছি, মন ভাল থাকছে। তাই অন্য কোনও শরীরচর্চার উপায় না বেছে যোগের দিকেই ঝুঁকেছিলাম,’’ বললেন ইমন।
বাড়িতে নিজের মতো যোগাভ্যাস করেন নীলাঞ্জন। তাঁর সঙ্গে টুকটাক স্ট্রেচিং শুরু করেছিলেন ইমন। কিন্তু তারপর তাঁর মনে হল, বাড়িতে নিজে নিজে যোগ ব্যায়াম করলে ঠিক মতো শেখা হবে না। তাই সপ্তাহে ৩ দিন নিয়ম করে যোগা প্রশিক্ষক বরুণ দেব মণ্ডলের কাছে গিয়ে যোগাভ্যাস করেন সঙ্গীতশিল্পী। ‘‘বাড়িতে অনেকেই যোগাভ্যাস করেন এবং তাঁরা উপকারও পান। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, অনলাইনে দেখে এটা ঠিক পারব না। তার থেকে কারুর তত্বাবধানে করাটাই ভাল,’’ মত ইমনের।
কত দিন হল ইমনের এই যোগ সফরের? তিনি জানান দেড়-দু’মাস মতো। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে কী করে শীর্ষাসনের মতো কঠিন ব্যায়াম রপ্ত করলেন তিনি? ইমন হেসে বললেন, ‘‘সবটাই বড়দের আশীর্বাদ এবং আমার গুরুর প্রশিক্ষণ। উনি খুবই দক্ষ হাতে সব ব্যায়াম করিয়ে নেন। আসলে প্রশিক্ষণটাই আসল। সেটা ঠিক থাকলে, সবই সম্ভব।’’ এখনই শীর্ষাসনের মতো কঠিন ব্যায়াম করছেন। ভবিষ্যতে কী আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই সফর? তিনি জানালেন, এই প্রশ্নের উত্তর তাঁর প্রশিক্ষকই দিতে পারবেন। ‘‘আমি আসলে যেই কাজটাই করি, চেষ্টা করি একদম নিখুঁতভাবে করার। আমার গুরু আমায় বলেছিলেন, যে আসনগুলো সাধারণত চার মাসে রপ্ত করেন সকলে আমি সেগুলো এক মাসের মধ্যেই করতে পেরেছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবে এগিয়ে যেতে পারব,’’ লাজুক উত্তর ইমনের।
যোগ দিবসের দিন ‘আনন্দবাজার অনলাইন’এর পাঠকদের কী বলতে চান ইমন? ‘‘আমার প্রত্যেকদিন এই যোগের স্ট্রেচিংগুলো করে দারুণ মজা লাগে। শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। মন অনেক শান্ত হয়। আমি সকলকে একটাই কথা বলতে চাই। কেউ যদি যোগের নানা রকম আসনগুলো নাও করেন, বাড়িতে বসে শুধু এই স্ট্রেচিংগুলো করলেও কিন্তু অনেকটাই উপকার পাওয়া যাবে,’’ বললেন ইমন।