কেন পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস? ছবি: সংগৃহীত
সেই সময়টা খুব পুরনো নয়, যখন মানসিক স্বাস্থ্য ভাল না থাকলেই চট করে তাকে ‘মাথার ব্যামো’ হয়েছে বলে দেগে দেওয়া হত। আসলে শরীরের মতো মনেরও যে অসুখ করতে পারে, এই বিষয়টা সহজ ভাবে নেওয়াই হত না। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা যাতে আরও ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে ১০ অক্টোবর পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস।
মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি আরও বেশি আলোচনায় উঠে আসে অতিমারির সময়। ‘নিউ নর্মাল’-এ মানিয়ে নিতে কম-বেশি সকলকেই বেগ পেতে হয়েছে। নানা রকম প্রতিকূলতার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই কয়েক বছরে মানুষ অনেক বেশি পরিমাণে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বও উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন। তাদের পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীতে মৃত্যুর দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ আত্মহত্যা। অবসাদের কারণে ১৫-২৯ বছর বয়সের ছেলে-মেয়েরা বেছে নিচ্ছে এই চরম পথ।
কবে থেকে শুরু হল এই প্রতীকী উদযাপন?
১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব মেন্টাল হেলথের পক্ষ থেকে প্রথম পালিত হয় বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। প্রথমদিকে এর আলাদা করে কোনও বিষয়বস্তু ছিল না। মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা বিষয়ে সচেতন করাই ছিল এর লক্ষ্য। তবে ১৯৯৪ সাল থেকে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির বিষয়টিও। ১৯৯৬ সালে থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল নারী ও মানসিক স্বাস্থ্য। ১৯৯৯ সালের বিষয় ছিল বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য।
এই বছর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের বিষয়বস্তু কী?
প্রতিবছরের মতো এই বছরও বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস বেছে নিয়েছে তার নতুন বিষয়বস্তু। এই বছরের বিষয় অসম পৃথিবীতে মানসিক স্বাস্থ্য। প্রত্যেক মানুষই অসম। অসম তাঁদের প্রতিকূলতা। কেউ ভুগছেন দীর্ঘদিন অসুস্থতায়, কেউ দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ যেতে না পেরে মানসিকভাবে ক্লান্ত, কেউ সামাজিক সমস্যার কারণে বিধ্বস্ত। এক পৃথিবীতে থেকেও এদের পৃথিবীটা আলাদা। সকলেরই মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোটাই এবারের প্রয়াস।