সন্তানের বাবার খোঁজ চলল ফেসবুকেই। ছবি: সংগৃহীত
সন্তানধারণের জন্য শুক্রাণু চাই, ফেসবুকে খোঁজ চাললেন তরুণী। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছে। ৩৪ বছর বয়সি কানাডাবাসী সারা মানগাট ফেসবুকে পরিচিত হওয়া এক জনের শুক্রাণু নিয়ে মা হয়েছেন। ২৭ সপ্তাহের মাথায় যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ আট বছর ধরে কোনও সম্পর্কে ছিলেন না তিনি। নতুন সম্পর্কে জড়ানোর কোনও ইচ্ছেও ছিল না তাঁর। তবে জীবনে তাঁর বড্ড একা লাগত, তাই তিনি স্থির করলেন তাঁর সন্তান চাই। এর পরেই তিনি বিভিন্ন স্পার্ম ডোনেশন ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। তবে সেই খোঁজে তিনি হতাশা ছাড়া কিছুই পেলেন না। কানাডায় স্পার্ম ডোনেশন ব্যাঙ্কগুলিতে সন্তানের জন্মের ১৮ বছরের আগে পিতৃপরিচয় প্রকাশ্যে আনার নিয়ম নেই। তবে এই নিয়ম তাঁর মোটেই পছন্দ নয়। তিনি মনে করেন, তাঁর সন্তানের পিতা কে, তা জানার অধিকার তাঁর আছে। এর পরেই শুরু হয় শুক্রাণুদাতার খোঁজ। ফেসবুকে ‘ক্যানাডিয়ান স্পার্ম ডোনার’ নামে একটি গ্রুপের সদস্য হলেন সারা। সেখানে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সেখানেই সারা খুঁজে পান তাঁর সন্তানের বাবাকে। সামনাসামনি দেখাসাক্ষাতের পর শুক্রাণুদাতা যৌনরোগ ও জিনের যাবতীয় পরীক্ষা করাতেও রাজি হন। সারা বলেন, ‘‘অনলাইনে এই বিষয় লোকজনের সঙ্গে কী কথা বলব, সেই নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। অনলাইনে বিভিন্ন রকম প্রস্তাবও পেয়েছি। তবে শেষ পর্যন্ত এমন এক জনের খোঁজ পেলাম যাকে সত্যিই বিশ্বাস করা যায়। দেখা করার পর আমরা বেশ ভাল বন্ধু হয়ে যাই। আমার অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ও আমার খেয়ালও রেখেছে।’’
সময়ের অনেক আগেই সারা তাঁর যমজ সন্তানের জন্ম দেন।
ছ’সপ্তাহের পর সারা জানতে পারেন তিনি যমজ সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। ২০ সপ্তাহ পর আলট্রাসাউন্ডে চিকিৎসকরা জানতে পারেন, তাঁর জরায়ুর আকার দুই সন্তানের ভ্রূণ বেড়ে ওঠার পক্ষে ছোট। তার পরেই চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। সময়ের অনেক আগেই সারা তাঁর যমজ সন্তানের জন্ম দেন।