ছবি: সংগৃহীত।
গরম চা ট্রেতে সাজিয়ে যাত্রীদের বসার জায়গা দিয়ে সন্তর্পণে এগোচ্ছিলেন বিমানসেবিকা। আচমকাই ঝাঁকুনি হল বিমানে। টাল সামলাতে না পেরে সামনের আসনে হোঁচট খেয়ে ছিটকে গেলেন তিনি। কোনও মতে সামলালেন হাতে ধরা পানীয়ের ট্রে। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কাপে থাকা গরম চা উল্টে পড়েছে এক যাত্রীর গায়ে। ঘটনাটি জানিয়ে সম্প্রতি ওই বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই যাত্রী। আদালতকে তিনি বলেছেন, ওই বিমান সংস্থার কাছে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০ লক্ষ ডলার চান তিনি। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪২ কোটি টাকারও কিছু বেশি।
ক্ষতিপূরণের অঙ্ক শুনে চোখ কপালে উঠেছে বিমান সংস্থার। যদিও কেন ওই ক্ষতিপূরণ চাইছেন, মামলায় তার সবিস্তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ওই যাত্রী। আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, ওই গরম পানীয় তাঁর শরীরে পড়ার পরে তাঁর ত্বক পুড়ে যায়। তাঁর তলপেট, ডান দিকের উরুর ভিতরের অংশ এবং কোমরের নীচের অংশে সেকেন্ড ডিগ্রি বার্নের চিকিৎসা করাতে হয়। তাঁর অভিযোগ, ওই বিমানসেবিকা হয়তো ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে জখম করেননি। কিন্তু মাঝ আকাশে বিমানে ঝাঁকুনি হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। এক জন পেশাদারের তাই সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। অথচ তিনি ঢাকনাহীন কাপে গরম পানীয় নিয়ে নিশ্চিন্তে যাত্রীদের বসার জায়গায় চলে এলেন। সামান্য ঢাকনার দাম বাঁচাতে গিয়ে তো এত কিছু হওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
ঘটনাটি ঘটে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে কায়রো যাওয়ার বিমানে। মাঝ আকাশে। ইজিপ্ট এয়ারের বিমানে। অভিযোগকারিণী যাত্রীও নিউ ইয়র্কেরই বাসিন্দা। বয়স ৩৫। নাম এসরা হেজেইন। ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালকে বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন তিনি। যদি বিমান সংস্থাটি ওই আইনি চিঠির সরাসরি কোনও জবাব দেয়নি। তবে সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় যাত্রীর চাওয়া ক্ষতিপূরণের বহর শুনে বিমান কর্তৃপক্ষ স্তম্ভিত। বিমান সংস্থার কর্মীরাও আপাতত ওই একই কথা ভাবছেন, একটা ঢাকনার জন্য এত!