সুন্দরী হতে গিয়ে সর্বহারা তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
বাহ্যিক ভাবে নিজেকে বদলে ফেলতে চেয়েছিলেন টরোন্টোর বাসিন্দা কেলি বেসলি। ৪৮ বছর বয়সেও কিশোরীদের মতো লালিত্য আর সৌন্দর্য পেতে প্লাস্টিক সার্জারি করান। কেলির মনের বাসনা পূরণ হয়েছে। এখন তাঁকে দেখে মুগ্ধ হতে হয় বটে, কিন্তু সুন্দরী হওয়ার খরচ জোগাতে গিয়ে তাঁর মাথার উপর থেকে ছাদ চলে গিয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে সুন্দরী কেলির জায়গা হয়েছে ভ্যানগাড়িতে।
নিজের বলতে কেউ নেই কেলির। একাই থাকেন। এক দিন আয়নায় নিজেকে দেখতে দেখতে কেলি বুঝতে পারেন, বয়সের ছাপ পড়ছে চেহারায়। ক্রমশ বুড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। কম বয়সের রূপলাবণ্য হারিয়ে যাচ্ছে। তখনই তিনি ঠিক করেন, প্লাস্টিক সার্জারি করাবেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। বেশ কিছু চিকিৎসকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। প্রথমে প্লাস্টিক সার্জারির খরচ কয়েক কোটি টাকা শুনে পিছিয়ে আসেন কেলি। কিছু দিন অপেক্ষা করার পর ফেসবুকে একটি গ্রুপের খোঁজ পান, যেখানে অনেকেই প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও সেখানে জানিয়েছেন। তাঁদেরই একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কেলি। তিনি জানতে পারেন, ১১ লক্ষ টাকায় অস্ত্রোপচার করা যাবে। কিন্ত ব্যাঙ্কে এত টাকা ছিল না কেলির। তাই নিজের বাড়ি বিক্রি করে দেন ১২ লক্ষ টাকায়। সেই টাকা দিয়ে অস্ত্রোপচার করান।
প্লাস্টিক সার্জারির পর পুরোপুরি ভোল বদলে গিয়েছে কেলির। মাঝেমাঝে নিজেকেই চিনতে পারেন না তিনি। ৫০-এর দোরগোড়ায় এসে নিজেকে ১৮-র কিশোরীর মতো লাগছে। কিন্তু সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে আশ্রয়টুকু চলে গিয়েছে। আপাতত বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ভ্যানে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সেটিকেই বসবাসের যোগ্য করে নিয়েছেন। তবে তা নিয়ে অবশ্য কোনও আফসোস নেই কেলির। এত কিছু করে যে শেষ পর্যন্ত তাঁর মনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে, তাতেই তিনি খুশি।