পাঁচ টাকার জায়গায় এমন লক্ষ্মীলাভ হতে দেখে বিস্মিত ওই তরুণীও। ছবিঃ আইস্টক।
বাস-ট্রামে উঠলে পকেটে খুচরো থাকা বাধ্যতামূলক। বড় নোট ধরিয়ে দিলেই যিনি টাকা নিচ্ছেন, তাঁর মুখ যেন এক রাশ বিরক্তিতে ভরে ওঠে। খুচরো না থাকা মানে যাত্রীর কাছে বিড়ম্বনা। এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন টাকা ভাঙিয়ে তার পরে ভাড়া মেটাতে হয়। কিন্তু খুচরো থাকার সমস্যা যে একা যাত্রীর, তা ঠিক নয়। চালকও কিন্তু অনেক সময়ে ভাড়া নিয়ে বাকিটা ফেরত দিতে পারেন না, শুধুমাত্র খুচরোর অভাবে। সম্প্রতি এমন একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন অনুষ্কা নামের এক তরুণী। রিকশাচালকের কাছে পাঁচ টাকা খুচরো পাওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু বদলে পেলেন এক ইউরো। পাঁচ টাকার জায়গায় এমন লক্ষ্মীলাভ হতে দেখে বিস্মিত ওই তরুণীও।
বাজারে দরকারি জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে যাচ্ছিলেন অনুষ্কা। প্রথমে ভেবেছিলেন হেঁটেই যাবেন। কিন্তু দেরি হয়ে যেতে পারে ভেবে রিকশায় ওঠেন। কিছু ক্ষণ পর গন্তব্যে এসে নামেন তিনি। তার পর ভাড়া মেটান। ভাড়ার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দেন। রিকশাচালক পাঁচ টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অনেক ক্ষণ পকেট হাতড়াতে থাকেন। কিন্তু পাঁচ টাকা পাননি। তাই বলে যাত্রীর থেকে তো বেশি ভাড়া নেওয়া যায় না। অবশেষে পকেট থেকে বার করেন একটি এক ইউরোর কয়েন। তা হাতে পেতেই চোখমুখ ঝলমল করে ওঠে অনুষ্কার। এক ইউরোর ভারতীয় মূল্য ৮৮ টাকা। যা ভাড়া দিয়েছিলেন, তা চেয়ে বেশিই ফেরত পেয়ে গেলেন তিনি। অনুষ্কা নিজের টুইটারের পাতায় এই ঘটনাটির কথা জানিয়েছেন। তার পর থেকে অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন।
অনেকে লিখেছেন, ওই রিকশাচালককে নাকি এর আগেও ১০০ ডলার দিয়ে বিড়ি কিনতে দেখা গিয়েছিল। আবার কেউ লিখেছেন, ‘‘এ তো বিশাল প্রাপ্তি।’’ তবে ওই চালক কোথা থেকে বিদেশি মুদ্রা পাচ্ছেন, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে কৌতূহল।