সোমবার বিশেষ একটি কাজ থাকায় প্রত্যেককে অফিসে আসতে বলেন ক্রিশ্চিয়ান। প্রতীকী ছবি।
কামাই করতে বারণ করা সত্ত্বেও অসুস্থতার কারণে সোমবার কাজে আসেননি ২৫ বছর বয়সি কেলিন থোর্লি। নির্দেশ না মানার অভিযোগে কাজ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। থোর্লি পেশায় কেশসজ্জা শিল্পী। তিনি ক্রিশ্চিয়ান ডনেলি নামক অপর এক কেশসজ্জা শিল্পীর সহকারী হিসাবে কাজ করছিলেন। সোমবার বিশেষ একটি কাজ থাকায় প্রত্যেককে অফিসে আসতে বলেন ক্রিশ্চিয়ান। কিন্তু শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফোন করে তা জানান। তাতেই রেগে যান ক্রিশ্চিয়ানো।
অফিসে আসবেন বলেই থোর্লি তৈরি হচ্ছিলেন সকালে। কিন্তু হঠাৎই অসুস্থ বোধ করায় তিনি বুঝতে পারেন, অফিস যেতে পারবেন না। ক্রিশ্চিয়ানো রেগে যাবেন জেনেও নিরুপায় হয়ে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে অসুস্থতার কথা জানান। থোর্লি লেখেন, ‘‘আমি জানি আজ না গেলে তোমার খুব সমস্যা হবে। কিন্তু আমি পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করছি। বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা নেই। আজ মনে হচ্ছে আমি অফিস যেতে পারব না।’’ থোর্লির থেকে এমন বার্তা পেয়ে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তিনি। আসলে শনি এবং রবিবার ছুটি ছিল। ক্রিশ্চিয়ানোর ধারণা হয় দু’দিন ধরে পার্টি করে, সেই রেশ তখনও কাটেনি। সে জন্যেই মিথ্যে বলে ছুটি নিচ্ছেন তিনি। সে ঘটনা গড়ায় বহু দূর। যায় আদালতেও। মিথ্যা সন্দেহে বরখাস্ত করার অভিযোগে থোর্লিকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য হন ক্রিশ্চিয়ানো।