হরমিন্দের দাবি, তিনি দেবী পার্বতীর একটি অংশ। প্রতীকী ছবি।
পুণ্যলাভ করতে অনেকেই পাড়ি দেন কৈলাস-মানস যাত্রায়। কিন্তু স্বয়ং শিবকে বিয়ে করার দাবি জানিয়ে ওই দুর্গম এলাকায় রীতিমতো ধর্নায় বসার ঘটনা, ইতিহাসে বোধ হয় এই প্রথম।
লখনউয়ের বাসিন্দা হরমিন্দ কৌর। বেশ কিছু দিন ধরেই ভারত-চিন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ধারচুলা তাঁর নতুন ঠিকানা। প্রশাসন থেকে ১৫ দিনের অনুমতি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর মা। কিন্তু অনুমতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও ওই এলাকা ছেড়ে যেতে চাইছেন না তাঁরা। হরমিন্দের দাবি, তিনি দেবী পার্বতীর একটি অংশ। শিবকে বিয়ে করতে এসেছেন। বিয়ে না করে এখান থেকে এক পা-ও নড়বেন না তিনি।
স্থানীয় পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল ওই এলাকা থেকে মা এবং মেয়ে দু’জনকে ফিরিয়ে আনার জন্য গেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন হরমিন্দ। বেশি জোর করলে হিতে বিপরীত হতে পারে ভেবে ফিরে আসেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই দু’জনকে গুঞ্জি এলাকা সরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে পুলিশের একটি বড় দল গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান, ওই মহিলা হয়তো মানসিক ভাবে ঠিক সুস্থ নন। তাই এমন অদ্ভুত জেদ করছেন।