অতিরিক্ত নীল ছবি দেখার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। ছবি: শাটারস্টক
যা নিষিদ্ধ, তার প্রতি কৌতূহল সব সময়েই বেশি! কিন্তু তা নিখাদ কৌতূহল? সেটাও ভাবা দরকার? কখনও কখনও নিজের অজান্তেই সেই কৌতূহল পরিণত হয় আসক্তিতে।ইন্টারনেট মানুষের হাতের মুঠোয় আসার পর থেকেই নীলছবি আকর্ষণ বাড়ছে মানুষের। ভারতে এই সব ছবির সাইটগুলি নিষিদ্ধ হলেও নানা অছিলায় চলছে দেদার ‘বড়দের ছবি’ দেখা। কিন্তু এই সব ছবি দেখলে শরীর ও মনের উপরে কেমন প্রভাব পড়ে? সে কথা জানতে ইচ্ছা করেছে কি কখনও?অতিরিক্ত নীলছবি দেখলে কল্পনা ও বাস্তবের মাঝে ফারাক করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে বলে বার বার সতর্ক করেন মনোবিদেরা। এর জেরে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। যৌন জীবনেও তার প্রভাব পড়ে।
পর্নের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি কী কী সমস্যা ডেকে আনে?
১) এই নেশার কারণে পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে শিথিল যৌনাঙ্গের সমস্যা। নীল ছবি দেখার অভ্যাস হয়ে গেলে সঙ্গমকালে বিশেষ সুখ হয় না অনেকের। কারণ পর্দার সাজানো গল্পের সঙ্গে বাস্তবের মিল খুঁজে পান না অধিকাংশেই। ফলে যৌনতায় অনীহা আসে।
২) অতিরিক্ত নীল ছবি দেখার অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। মস্তিষ্কের কার্যকারীতায় ব্যাঘাত ঘটায়। এই ছবি যেহেতু প্রকাশ্যে দেখেন না লোকে, তাই মনের মধ্যে সব সময়ে চলতে থাকে ধরা পড়ার বা কেউ দেখে ফেলার আশঙ্কা।
৩) সমাজের বাকি সব কিছুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে পারে নীল ছবির প্রতি আসক্তি। এর প্রভাব পড়ে কাজ থেকে শুরু করে সংসারেও।
৪) নিয়মিত বড়দের ছবি দেখার নেশা যৌনজীবন পক্ষে মোটেও ভাল নয়। এই ছবি দেখেই অনেকের মানসিক ও শারীরিক তৃপ্তি আসে, ফলে বাস্তব জীবনে তাঁরা ততটাও যৌনতা উপভোগ করেন না।
৫) অতিরিক্ত নীল ছবি দেখলে যৌনসঙ্গমের জন্য একাধিক সঙ্গীর খোঁজ করার প্রবণতা দেখা দেয়। তার ফলে যৌনবাহিত রোগ হতে পারে।
৬) অতিরিক্ত নীলছবি দেখার কারণে আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার মতো সমস্যায়ও যে দেখা দেয়। তার প্রভাব গিয়ে পড়ে রোজের জীবনে।