প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ঘুম আসতে দেরি হচ্ছে? সারা রাত জেগেই থাকছেন? বার বার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে? নানা কারণে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। ক্যামোমাইল টি খাওয়া থেকে ঘুমের আগে পায়চারি— সব রকম উপায়ই চেষ্টা করে দেখে ফেলেছেন। কিছুতেই ঘুম ঠিক মতো হচ্ছে না। তা হলে কী করা যায়। রোজ ঘুমের আগে বালিশের নীতে রসুন নিয়ে ঘুমোন। অনেকের মতে এই টোটকা মানলে অচিরেই উপকার পাবেন।
ভাবছেন এমন অদ্ভুত টোটকার মানে কী? এই টোটকা কিন্তু বহু পুরনো। অনেক ঠাকুমা-দিদিমারা ঘুমের সময়ে রসুন রাখার উপদেশ দিতেন। তবে এর পিছনে কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। রসুনে রয়েছে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক গুণ। অ্যালিসিন নামে এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক রসুনে পাওয়া যায়। ঘুমের সময়ে তারই গন্ধ নাকে গিয়ে জীবাণু দূর করে। আসলে অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে থাকে বলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। নাক ডাকা, বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যা মূলত সেই কারণ থেকেই। রসুনের গন্ধ নাকে গেলে বন্ধ নাক খুলে যায় সহজেই। তাই ঘুমও হবে নিশ্চিন্তে।
প্রতীকী ছবি।
বালিশের নীচে রসুন রাখার আরও কিছু উপকার রয়েছে। মশা-মাছি দূরে থাকে। রসুনে রয়েছে ভিটামিন বি১ এবং বি৬। তাই মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়। যাতে আমাদের স্নায়ু শান্ত করে। তাতে ঘুমও অনেক বেশি গাঢ় হয়। প্রত্যেক দিন যদি রসুন নিয়ে শোওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, তা হলে দেখবেন শরীরও সকালে অনেক বেশি চাঙ্গা লাগে।
তবে কিছু দ্বন্দ্ব থেকেই যায়। এক কোয়া রসুনেই কি কাজ দেবে? এই নিয়ে নানা জনের নানা মত। এই টোটকায় উপকৃত হয়ে নেটমাধ্যমে কেউ কেউ জানিয়েছেন, এক কোয়াতেই কাজ দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, অর্ধেক রসুন নিলে তবেই কাজ হচ্ছে। কত দিন এই ভাবে ঘুমোলে এই টোটকা কাজে দেবে? খুব কম সময়েই হবে না। নিয়মিত ঘুমোলে বেশ কিছুটা সময় পর এর উপকার অনুভব করতে পারবেন। কিন্তু ঠিক কত দিন, তার উত্তর স্পষ্ট ভাবে দেননি কেউ-ই।