শীত পড়লেই অনেকের মনখারাপ হয়ে যায় কেন? ছবি: শাটারস্টক।
শীতকাল মানেই তো হইহুল্লোড়! পিকনিক, পার্টি, বড়দিন, বর্ষবরণ লেগেই রয়েছে। সেই অনন্দে গা ভাসিয়েছেন ছোট থেকে বড় অনেকেই। তেমনই অনেকেই আছেন যাঁরা এই উৎসবের মুহূর্তেও নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। শীতকাল এলেই কারও কারও মনে আবার জমতে থাকে বিষণ্ণতার মেঘ। জীবনে যে খুব বেশি বদল এসেছে সে জন্য নয়, অনেকেই আছেন, যাঁদের শীতকাল এলেই উদাসীনতা গ্রাস করে অকারণেই। দৈনন্দিন কাজের গতিও মন্থর হয়ে যায়। আলোর রোশনাই, উৎসবের উদ্দীপনা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান সেই দলের মানুষ। শীতকালীন এই মনখারাপকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘উইন্টার ডিপ্রেশন’ অথবা ‘উইন্টার ব্লুজ়’। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাকে বলে ‘সিজ়নাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার’।
মনোবিদদের মতে, অনেক সময়ে বিশেষ কিছু মরসুম বদলের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদ দেখা দেয় কারও কারও মনে। একেই সিজ়নাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার বলে। বিষয়টি আসলে মস্তিষ্কের জৈব-রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। শীতকালে সূর্যালোকের প্রভাব কম থাকে, মূলত সেই সময়ে এই ধরনের মানসিক অবসাদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। শীতকালে যে হেতু দিন ছোট এবং রাত বড়, ফলে সূর্যের আলো কম মেলে। মনখারাপ গ্রাস করে। বছরের এই বিশেষ সময়ে বেশি ক্লান্ত লাগা, অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া, দ্রুত ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া, মনোসংযোগের অভাব, কাজের প্রতি অনীহা— শীতকালীন অবসাদের অন্যতম উপসর্গ।
আপনিও কি সিজ়নাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডারে ভুগছেন? এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মনখারাপ হলে কারও সঙ্গে কথা বলুন প্রাণ খুলে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট ওষুধ খেতে পারেন।