ঘর আর অফিসের মধ্যে ঘরই বেছে নিচ্ছেন মহিলারা। ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আগের দু’বারের মতো সাম্প্রতিক করোনা-স্ফীতিতে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এবং আইটি অফিসগুলি ফের ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মূলত কর্মীদের স্বাস্থ্য এবং বাড়তি সুরক্ষার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সংক্রমণ নীচের দিকে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সংক্রমণ কমে গেলে মার্চ বা এপ্রিলের শুরু থেকে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কাজ করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করতেই বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ছেন। অফিসে গিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা দেখা যাচ্ছে।
ছবি: আইস্টক
অফিসে নয়, বাড়ি থেকে কাজ করতে কেন বেশি উৎসাহী কর্মীরা?
কর্মীরা বলছেন যে বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে প্রাত্যহিক জীবনকে একটা নিয়মে বাঁধতে পেরেছেন তাঁরা। অফিসে গিয়ে কাজ করার ফলে যেটি সম্ভব হচ্ছিল না। বাড়িতে থেকে কাজ করার ফলে কাজের ফাঁকে তাঁরা অনেকই ব্যক্তিগত কাজও করে নিতে পারছেন। যাতায়াতের সময়টাও বেঁচে যাচ্ছে। বাড়ি এবং অফিস একসঙ্গে সামলাতে আগে যে মানসিক চাপে ভুগতেন, এখন সেটা অনেক কম।
এ ছাড়াও সমীক্ষায় আরও দু’-একটি কারণ উঠে এসেছে বাড়ি থেকে কাজ করার সমর্থনে। কর্মীদের মতে, আগে ১০-১২ ঘণ্টা অফিস করার ফলে পরিবারের জন্য আলাদা করে কোনও সময় থাকত না। এখন বাড়ি থেকে কাজ হলেও প্রতিদিন বাড়ির লোকজনের সঙ্গেই কাটছে।
সমীক্ষা বলছে, অধিকাংশ কর্মীরা কাজের ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেলই বেশি পছন্দ করছেন। অর্থাৎ যেখানে অনলাইন এবং অফলাইন দু’ভাবেই কাজ করার সুযোগ আছে।
পুরুষদের তুলনায় মহিলা কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করাতে বেশি আগ্রহী। অনেক মহিলাকেই ঘর এবং বাইরে একা হাতে সামলাতে হয়। ফলে বাড়ি থেকে কাজের ফলে সেই দায়িত্ব পালন অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।