Yogurt and Bowel Cancer

রোজ ইয়োগার্ট খেলে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম, জানাচ্ছে গবেষণা

ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ইয়োগার্টের ভূমিকা রয়েছে। ‘টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস’ জার্নালে ‘গাট মাইক্রোবায়োম’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে সে তথ্যের উল্লেখ রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫ ১৬:১৩
Share:
yogurt

ইয়োগার্টে কী এমন আছে? ছবি: সংগৃহীত।

কোলন এবং রেক্টাম, অর্থাৎ মলাশয় এবং মলদ্বার, একত্রে বলা হয় ‘কোলোরেক্টাল’। প্রতি দিন এক গ্লাস করে দুধ খেলে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে, সে কথা আগেই গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় নতুন আরও একটি তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে ইয়োগার্টের ভূমিকা রয়েছে। ‘টেলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস’ জার্নালে ‘গাট মাইক্রোবায়োম’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে ইয়োগার্ট খাওয়ার অভ্যাসে কোলোরেক্টাল ক্যানসারের বীজ সমূলে ধ্বংস হয়।

Advertisement

গবেষক জাস্টিন স্টেবিং বলছেন, বিগত কয়েক বছরে ৫০-৫৫ বছর বয়সিদের মধ্যে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। নিয়মিত ইয়োগার্ট খেলে অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ফলে ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে সেই ব্যাক্টেরিয়াগুলি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে অন্ত্রে বসবাসকারী ‘গাট মাইক্রোবায়োম’ বা ব্যাক্টেরিয়ার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। পরিপাকতন্ত্রেরও যত্ন নেয় ইয়োগার্ট। রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।

ইয়োগার্ট বা টক দইয়ে ‘ল্যাক্টোব্যাসিলাস’ এবং ‘স্ট্রেপ্টোকক্কাস থার্মোফিলাস’ নামক দু’টি ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এই দু’টি ব্যাক্টেরিয়া অন্ত্রের জন্য উপকারী। ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে যে প্রতিরোধী ব্যবস্থা প্রয়োজন, তা মূলত এই ব্যাক্টেরিয়া দু’টির জন্যই সম্ভব। তবে এ দেশে তো ইয়োগার্ট খাওয়ার চল বিশেষ নেই। সে ক্ষেত্রে টক দই খেলেও কাজ হবে। কিন্তু ইয়োগার্টে যে পরিমাণ ভাল ব্যাক্টেরিয়া থাকে, টক দইয়ে তার পরিমাণ অনেক কম।

Advertisement

এই সমীক্ষায় বিভিন্ন বয়সি প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। প্রায় এক যুগ ধরে এই সমীক্ষা চলেছে। তাঁদের মধ্যে অবশ্যই একটি দলের নিয়মিত ইয়োগার্ট খাওয়ার অভ্যাস নেই। আর অন্য দলটি দীর্ঘ দিন ধরে নানা ভাবে ইয়োগার্ট খেয়ে আসছেন। গবেষকেরা আসলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে চেয়েছিলেন, যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ইয়োগার্ট খেয়ে আসছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রতি দু’বছরে অন্ত্রের চরিত্র কী ভাবে বদলাচ্ছে এবং ‘বিফিডোব্যাক্টেরিয়াম’ নামক ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়ছে কি না।

তবে গবেষকেরা বলছেন, কোলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধে ইয়োগার্টের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু নিয়মিত ইয়োগার্ট খেলে বৃহদন্ত্রে ‘বিফিডোব্যাক্টেরিয়াম-পজ়িটিভ প্রক্সিমাল কোলন ক্যানসার’ নামক ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ সৃষ্টির পথে বাধা তৈরি হয়। ইয়োগার্ট অন্ত্রে প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের মাত্রা হ্রাস করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement