প্রতীকী ছবি।
মাখন খেতে অনেকেই ভালবাসেন। মাখনের সুগন্ধের জন্যই বহু খাবারে মাখন মেশান তাঁরা। পাউরুটি, গরম ভাত— এ সব তো আছেই। এ ছাড়াও নুডল্স, রুটি, পরোটা, এমনকি, চায়ের মতো পানীয়েও অনেকে মাখন মিশিয়ে নেন। তবে সবচেয়ে বেশি মাখন জোটে শিশুদের কপালে। টিফিন হোক কিংবা হাল্কা জলখাবার— বহু বাবা-মা তাঁদের সন্তানের খাবারে দেদার মাখন মিশিয়ে দেন। এতে শিশুরা চেটেপুটে খেয়ে ফেলে খাবার। কিন্তু দিনের পর দিন মাখন খাওয়া কি ভাল?
বহু পুষ্টিগুণ থাকলেও অতিরিক্ত মাখন শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। এমনই বলছে হালের গবেষণা। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন গবেষক শিশুদের শরীরে মাখনের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন। গবেষণার ফল দেখে তাঁদের দাবি, অতিরিক্ত মাখন খেলে বড়দের তো বটেই শিশুদের টাইপ-২ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বাড়ে।
প্রতীকী ছবি।
মাখনের মতোই গবেষকরা একই সঙ্গে সাবধান করেছেন দুগ্ধজাত অন্যান্য খাবার নিয়েও। এর প্রত্যেকটিতেই রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে টাইপ-২ ডায়াবিটিসের আশঙ্কা বাড়ে।
কতটা মাখন খাওয়া নিরাপদ?
গবেষকদের মতে, সপ্তাহে দু’-তিন দিন মাখন খাওয়া যেতে পারে। তা-ও প্রত্যেক দিন এক বা দু’চামচের বেশি নয়। এই পরিমাণ মাখন শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং ওজন বাড়ায় না। কিন্তু মাখনের পরিমাণ এর চেয়ে বেড়ে গেলেই বিপদ। তা হলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এমনকি নিয়মিত ভাজাভুজি, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খেলে যে ক্ষতি হয়, বেশি মাখন খেলেও একই ধরনের ক্ষতি হয়— এমনই বলছেন গবেষকরা।