কমোডে দু’ধরনের বোতামের ব্যবহার জেনে ব্যবহার করুন। ছবি: শাটারস্টক।
পরিবেশ সুরক্ষিত রাখলে তবেই আমাদের বেঁচে থাকা সুন্দর হবে। পরিবেশের সুষ্ঠু ভারসাম্যই হতে পারে আমাদের জীবনযাত্রাকে স্বাস্থ্যকর করে তোলার চাবিকাঠি। তবে পরিবেশ রক্ষা মানে কেবল গাছ লাগানো অথবা জঞ্জাল সাফ নয়। নিত্য কাজে লাগে এমন জিনিসের অপচয় রুখেও পরিবেশের উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব। এমনকি, কমোড ব্যবহারের নিয়মে বদল এনেও পরিবেশে জলের অপচয় রুখে দিতে পারেন আপনি!
এমনিতেই আমাদের দেশে জনসংখ্যার নিরিখে জলের চাহিদা বিপুল। তাই প্রত্যেকেরই উচিত জল ব্যবহারের সময় তা মাথায় রাখা। শুধুমাত্র অকারণে খুলে রাখা কল বন্ধ করাই নয়, বরং আমাদের রোজের অভ্যাসে পরিবর্তন এনেও এই কাজ করা সম্ভব। দু’ ধরনের টয়লেট ফ্লাশ যুক্ত আধুনিক কমোড আছে বাড়িতে? তা হলে এমন শৌচালয় ব্যবহারের সময়ও মাথায় রাখুন কিছু জরুরি বিষয়।
কমোডের এই দু’ধরনের ফ্লাশকে বলা হয় ডুয়াল ফ্ল্যাশ। ১৯৭৬ সালে মার্কিন শিল্পপতি ও প্রযুক্তিবিদ ভিক্টর পাপানেক এই পদ্ধতির নকশা তৈরি করেন। পরিবেশে জলের পর্যাপ্ত জোগান রাখতে তাঁর এই পদ্ধতিটি সহজেই গ্রহণযোগ্য হয়। কিন্তু কেন এই দু’টি ফ্লাশ, কী ভাবেই বা তা পরিবেশে জল সঞ্চয় করে জানেন?
আরও পড়ুন: জ্বর-সর্দি-কাশির ভয়? ওষুধ ছাড়াই সুস্থ থাকুন এ সব খাবারে
‘বাতিকগ্রস্ত শুচিবাইয়ের রোগী’ বলে ব্যঙ্গের খোরাক! কেন হয় এ সমস্যা?
এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাশ আকারে বড় অপরটি ছোট। স্বাভাবিক ভাবেই বড় ফ্ল্যাশটি থেকে বেশি জল বেরোয়, ছোটটি থেকে তুলনায় কম। কিন্তু আমরা অনেকেই এর সঠিক ব্যবহার না জেনে কমোড ব্যবহারের পরে একই সঙ্গে দু’টি ফ্ল্যাশে চাপ দিই। আমাদের ধারণা, এতে অনেকটা জল বেরিয়ে কমোড দ্রুত পরিষ্কার হয়।
সাধারণত, মলত্যাগের পর ব্যবহারের জন্যই রাখা হয় বড় ফ্ল্যাশটি। আর ছোটটি প্রস্রাবের পর ব্যবহারের উদ্দেশে তৈরি। সাধারণ মাপের একটি কমোডে বড় ফ্লাশটি থেকে একেবারে ৭-৯ লিটার জল বেরোয়। ছোটটি থেকে বেরোয় ৪-৪.৫ লিটার জল। প্রযুক্তিবিদদের মতে, নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট করা ফ্লাশ ব্যবহার করলেই কমোড পরিষ্কার থাকে, বরং এই দু’টি কাজে পৃথক ফ্লাশ ব্যবহার করলেই বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ জল বাঁচে।
সুতরাং এ বার থেকে কমোডেও বাড়তি জল অপচয়ের আগে সতর্ক হোন। এই সহজ পদক্ষেপ করে পরিবেশে জলের জোগান বাড়াতে সাহায্য করুন।