ছবি: সংগৃহীত
ড্রোন ক্যামেরায় ছবি তোলা বা ভিডিয়ো রেকর্ড করার শখ অনেকেরই আছে। কিন্তু দেশে ড্রোন ওড়ানোর নিয়মগুলি ভাল করে জানা নেই বলে, অনেকেই শেষ পর্যন্ত ড্রোন কেনা থেকে পিছিয়ে আসেন। আবার অনেকে নিয়ম না জেনে ড্রোন কিনে সমস্যায় পড়ে যান।
হালের কয়েকটি নাশকতামূলক কাজের পিছনে ড্রোনের ভূমিকা ছিল। আর তাই অনেকেরই প্রথম প্রশ্ন:
ভারতে সাধারণ মানুষ কি ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন?
উত্তর হল, অবশ্যই পারেন। সাধারণ মানুষের ড্রোন ব্যবহার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কিছু কিছু এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করা যায় না। সীমান্তবর্তী অঞ্চল, সরকারি অফিস, স্পর্শকাতর কিছু এলাকা এর মধ্যে রয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে ভাল করে জেনে তবেই ড্রোন ব্যবহার করা উচিত।
এ বার দেখে নেওয়া যাক, কোন ধরনের ড্রোন ব্যবহার করার নিয়ম কেমন।
• ন্যানো ড্রোন: ২৫০ গ্রামের কম ওজনের ড্রোনকে এই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে ধরা হয়। এটি যে কেউ কিনতে পারেন এবং ওড়াতে পারেন। অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই।
• মাইক্রো ড্রোন: ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কিলোগ্রামের মধ্যে ওজন। এর জন্য অনুমতিপত্র লাগবে। দেশের ‘আনম্যান্ড এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম’-এর থেকে ‘অপারেটর পারমিট ১’ নিতে হবে। তবেই ওড়ানো যাবে।
• স্মল ড্রোন: ২ কিলোগ্রাম থেকে ২৫ কিলোগ্রামের মধ্যে ওজন। এ ক্ষেত্রেও ‘অপারেটর পারমিট ১’ প্রয়োজন।
• মিডিয়াম ড্রোন: ২৫ কিলোগ্রাম থেকে ১৫০ কিলোগ্রামের মধ্যে ওজন। এই ধরনের ড্রোন ওড়াতে ‘অপারেটর পারমিট ২’ প্রয়োজন।
• লার্জ ড্রোন: ১৫০ কিলোগ্রামের উপরে ওজন। এটির জন্যও ‘অপারেটর পারমিট ২’ দরকার।
মনে রাখা দরকার, এক মাত্র ন্যানো ড্রোন ছাড়া বাকিগুলি ওড়ানোর জন্য ‘সিভিল অ্যাভিয়েশন’-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে সেগুলি রেজিস্টার করানো দরকার। এর পাশাপাশি ‘অপারেটর পারমিট’-এর জন্য পরীক্ষাও দিতে হতে পারে। সে বিষয়েও মানসিক প্রস্তুতি রাখা ভাল।
ভারতের মাঝে মধ্যেই ড্রোন সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তন হয়। সে বিষয়ে ভাল করে জেনে, তবেই ড্রোন নির্বাচন করা উচিত।