পিনাট বাটারের পুষ্টিগুণ কতটা? ছবি: সংগৃহীত
শুকনো পাউরুটি খেতে কে-ই বা চান! পাউরুটির উপর মাখনের প্রলেপ অনেকেরই পছন্দের। তবে মাখনের বিকল্প হিসেবে বহু দিন ধরেই চলে আসছে পিনাট বাটার।
‘বাটার’ নাকি ‘পিনাট বাটার’— কোনটার কী বৈশিষ্ট্য? কোনটাই বা কখন খাওয়া উচিত? রইল সেই তালিকা:
পার্থক্য: মাখন বা ‘বাটার’ দুধ থেকে তৈরি হয়। গরু, মোষ বা ছাগলের দুধ থেকে ক্রিম বা স্নেহজাতীয় পদার্থ বের করে নিয়ে এসে মাখন বানানো হয়। সেখানে চিনা বাদাম বা পিনাট গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে উদ্ভিজ্জ তেল বা বনস্পতি আর অল্প নুন মিশিয়ে বানানো হয় পিনাট বাটার।
পুষ্টিগুণ: দুধে যা যা পুষ্টিগুণ থাকে, তার বেশির ভাগই মাখনেও থাকে। বেশ কয়েক ধরনের ভিটামিন ছাড়াও প্রচুর স্নেহপদার্থ থাকে মাখনে। নিয়মিত মাখন খেলে রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পিনাট বাটারেও নানা ধরনের ভিটামিন থাকে। তার সঙ্গে প্রোটিন, স্নেহপদার্থ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস থাকে এতে। প্রচুর ফাইবার থাকার ফলে এটি সহজে হজম হয়। মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
চর্বি জাতীয় উপাদান: স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই মাখনের চেয়ে পিনাট বাটার বেশি পছন্দ করেন। তার কারণ এতে কম পরিমাণে স্নেহপদার্থ এবং ক্যালোরি থাকা। ১০০ গ্রাম মাখনে ৭১৭ ক্যালোরি থাকে। সেখানে ১০০ গ্রাম পিনাট বাটারে ৫৬৭ ক্যালোরি থাকে। চর্বির পরিমাণও পিনাট বাটারে অনেক কম। ১০০ গ্রামে ৫০ গ্রাম। সেখানে সম পরিমাণ মাখনে প্রায় ৮১ গ্রাম। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, পিনাট বাটার তাঁদের বেশি পছন্দের।
প্রোটিন: মাখনের চেয়ে পিনাট বাটারে প্রোটিনের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। ১০০ গ্রাম পিনাট বাটারে ২৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। সেখানে সমপরিমাণ মাখনে প্রোটিন আছে মাত্র ১ গ্রাম। তা ছাড়া পিনাট বাটারে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। যা মস্তিষ্ক, হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।