প্রতীকী ছবি।
সাজ সুন্দর করতে অনেক কিছুই পরা হয়। কখনও সরু হিল দেওয়া জুতো, কখনও গায়ের সঙ্গে একেবারে আটকে থাকা জামা-প্যান্ট। লম্বা ও চোখা হিল যত ভালই দেখাক না কেন, শরীরের উপরে বিশেষ ভাল প্রভাব যে ফেলে না, তা কে না জানে। গোটা শরীরের ভর গিয়ে পড়ে জুতোর তলায় হিলের শেষ প্রান্তের সেই এক চিলতে অংশটিতে। ফলে পা মচকে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গোড়ালিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে চোট লাগতে পারে পিঠ, কোমর এবং হাঁটুতে। এ রকমই হাল ফ্যাশনের নানা ধরনের পোশাকেরও কঠিন প্রভাব পড়তে পারে স্বাস্থ্যের উপরে।
কোন ধরেনর পোশাক শরীরের বেশি ক্ষতি করে জেনে নিন।
১) লেগিংস: সর্বত্র ব্যবহৃত এই পোশাক নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। পেশির উপরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এই পোশাক। যার ফলে পেশিশক্তি কমে যায় বলে বক্তব্য চিকিৎসকদের একাংশের। অন্য একটি অংশ সে বিষয়ে একমত না হলেও সকলে একটি কথা মানেন, লেগিংস পরলে হাওয়া খেলতে পারে না শরীরের সেই অংশে। তার জেরে ত্বকের ক্ষতি হয়। ঘাম জমে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে এই পোশাক নিয়মিত পরলে।
প্রতীকী ছবি।
২) টাই: পোশাকের এই অনুষঙ্গটি ছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই যথেষ্ট পেশাদার দেখাচ্ছে না বলে মনে করেন। কিন্তু এই সাজ যতই সুন্দর হোক, তা আসলে মস্তিষ্ক ও চোখের উপর বেশ প্রভাব ফেলে। আঁটোসাঁটো করে টাই বাঁধলে রক্ত চলাচাল কম হয় গলার উপরের অংশে। রক্তচাপ বেশ কিছুটা বেড়েও যেতে পারে এর কারণে।
৩) জিন্স: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জিন্স এখন রোজের সাজের সবচেয়ে জরুরি একটি অঙ্গ। এক সময়ে ঢোলা জিন্স পরার চল ছিল। কিন্তু এখনকার ফ্যাশনে পায়ের সঙ্গে চেপে বসে থাকা স্কিনি জিন্স সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু মধ্য তিরিশের মহিলাদের এই পোশাকই বেশ সমস্যায় ফেলতে পারে। পায়ে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় এই জিন্স। তার জন্য চলাফেরার শক্তি কমে যায় অনেকের। পায়ের গঠনের কারণে বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়। বয়স বাড়লে তা আরও বেশি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে বক্তব্য চিকিৎসকদের।
৪) চামড়ায় জ্যাকেট: দেখতে যতই সুন্দর হোক, শরীরের উপরে এর প্রভাব সব সময়ে তেমন নয়। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন মানুষকে চর্মরোগে ভুগতে দেখা গিয়েছে শুধু চামড়ার জ্যাকেট পরার অভ্যাসের কারণে। হাত ও গলায় লাল ভাব, ব্যথা হয়ে থাকে চামড়ার জ্যাকেট নিয়মিত ব্যবহার করলে। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় অতিরিক্ত মাত্রায়।