সভ্যতার ইতিহাসের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে এগিয়েছে পানীয়ের ইতিহাসও। পানীয়ের ইতিহাসের পাতায় উঁকিঝুকি মারলে বহু অজানা তথ্যই উঠে আসবে।
ইতিহাসের মতোই নানা পানীয়ের দামও অবাক করে দেওয়ার মতো। কোনও কোনওটির এক এক গ্লাসের দামই ভারতে লক্ষ টাকা, কোনওটির আবার বোতলের দাম কোটির অঙ্কে। রইল তেমন সেরা কয়েকটি পানীয়ের তালিকা।
সাৎজেরাক: আমেরিকার এই পানীয়টি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পানীয়গুলির একটি। ব্র্যান্ডি জাতীয় এই পানীয়ের এক গ্লাসের দাম ভারতে ৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
ডায়মন্ড ইজ ফরএভার মার্টিনি: ভডকা দিয়ে তৈরি এই ককটেল পান করতে বা করাতে চাইলে অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে জানিয়ে রাখতে হয়। পানীয়ের তলায় থাকে হিরের আংটি। যিনি পান করছেন, আংটিও তাঁর। এক গ্লাসের দাম ৭ লক্ষ টাকা থেকে শুরু।
ওনো শ্যাম্পেন ককটেল: আমেরিকার লাস ভেগাসের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। ভারতীয় হিসাবে এক গ্লাসের দাম ৭ লক্ষ টাকার বেশি।
দ্য উইনস্টন ককটেল: ইংল্যান্ডের এই পানীয়টির নামকরণ করা হয়েছে উইনস্টন চার্চিলের নামানুসারে। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই পানীয়টির প্রতি গ্লাসের দাম ভারতে ৯ লক্ষ টাকা।
ডায়মন্ডস আর ফরএভার মার্টিনি: এই তালিকায় থাকা ‘ডায়মন্ড ইজ ফরএভার মার্টিনি’র দামি সংস্করণ এটি। জেমস বন্ডের সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পানীয়টি বানানো হয়। এর ভিতরে থাকে এক ক্যারেটের হিরে। পানীয়টি যে যে পানশালায় বিক্রি হয়, সেখানে বাদ্যযন্ত্রশিল্পীরা ১৯৭১ সালের জেমস বন্ডের ছবির আবহসঙ্গীতটি বাজান। পানীয়টিতে চুমুক দিলেই বাজতে শুরু করে সঙ্গীতটি।
গ্লাস হিসাবে যে সব ককেটল বিক্রি হয়, তাদের দামের কথা হল। এ বার দেখা যাক কোন কোন বোতলের দাম সবচেয়ে বেশি।
৫০ বছরের পুরনো গ্লেনফিডিচ সিঙ্গল মল্ট স্কচ হুইস্কি: নির্মাতার এই বিশেষ হুইস্কির মাত্রা ৫০টি বোতল প্রতি বছর তৈরি করেন। সেগুলি রাখা থাকে ৫০ বছর ধরে। তার পরে বিক্রি হয়। এর প্রত্যেক বোতলের দাম ভারতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
১৯২৬ ম্যাকালান ফাইন অ্যান্ড রেয়ার: সবচেয়ে দামি হুইস্কিগুলির একটি। এটি তৈরির সময়ে এতে কোনও জল মেশানো হয় না। প্রত্যেক বোতলের দাম প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা।
৬২ বছরের পুরনো ডালমোর স্কচ হুইস্কি: এখনও পর্যন্ত খুব বেশি তৈরিই হয়নি এই হুইস্কি। কারণ এটির একটি বোতল খুব কম মানুষের পক্ষেই কেনা সম্ভব। দাম ভারতীয় টাকায় ১.৫ কোটির কাছাকাছি।
হেনরি ৪ ডিউডোনিয়ান হেরিটেজ কনিয়াক: অত্যন্ত প্রাচীন এই পানীয়ের বোতলটির গা সোনায় মোড়া থাকে। তার উপরে হিরের কাজ করা থাকে। এক বোতলের দাম ১৪ কোটি টাকার বেশি।
টেকিলা লে ২৯৫ দিয়ামানতে: পানীয়ের বোতলটিই ২ কিলোগ্রাম প্লাটিনামে মোড়া থাকে। তার উপরে থাকে ৪১০০টি সাদা হিরের কাজ। দাম ২৫ কোটি টাকার বেশি।
বিলিয়োনেয়ার ভডকা: ঠিক কোন কোন উপকরণ দিয়ে এবং কী ভাবে এই ভডকা তৈরি হয়, তা কখনও এর নির্মাতারা প্রকাশ করেননি। রাশিয়ার এই পানীয়টির বোতল উচ্চমানের ৩০০০ হিরে দিয়ে সাজানো হয়। এক বোতল পানীয়ের দাম প্রায় ২৮ কোটি টাকা।
ইসাবেলা আইলে হুইস্কি: পৃথিবীর সবচেয়ে দামি পানীয় বলে পরিচিত। বোতলটির গায়ে ৮৫০০ উচ্চ মানের হিরে বসানো থাকে। তার সঙ্গে থাকে ৮০০টি উচ্চ মানের চুনি। প্রত্যেক বোতলের দাম ৪৬ কোটি টাকার কাছাকাছি।