নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না অ্যাপটি। ছবি: সংগৃহীত
নিজেদের অবস্থান থেকে সরছে না হোয়াটসঅ্যাপ। বরং নিজেদের নয়া নীতি এবং তথ্যের নিরাপত্তা বিষয়ে নতুন করে ব্যবহারকারীদের জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। শোনা যাচ্ছে, এই মেসেজিং অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন অংশ, যেখানে তারা আবার পরিষ্কার করে নিজেদের নীতির কথা জানাবে প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে। অ্যাপটি খুললে পরপর যে ‘চ্যাট’-এর তালিকা আসে, তার একেবারে উপরে ‘ব্যানার’ হিসেবে থাকবে একটি অংশ। তার মধ্যেই নিজেদের বক্তব্য রাখতে চলেছে তারা।
ইউরোপ এবং ভারতে কেন আলাদা নীতি, এই প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল মেসেজিং অ্যাপটির বিরুদ্ধে। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নতুন নীতি চালু করার তারিখটি ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পিছিয়ে ১৫ মে করে দেয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও নতুন নীতি বলবত করা থেকে তারা যে পিছিয়ে যাচ্ছে না, তা পরিষ্কার ফেসবুকের মালিকানাধীন এই অ্যাপের বর্তমান সিদ্ধান্ত থেকে।
জানুয়ারির গোড়ায় হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছিল, তারা তাদের নীতিতে বদল আনতে চলেছে। তখনই ব্যবহারকারীদের মধ্যে মেসেজিং অ্যাপটি নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। অনেকেই সিগন্যাল বা টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা শুরু করেন। হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ছিল, তারা নাকি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করছে। ব্যবসার উদ্দেশ্যে ফেসবুকের কাছেও পাঠিয়ে দিচ্ছে সেই তথ্য। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের তরফে এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি। তাদের দাবি, ব্যবহারকারীদের কথোপকথন, ছবি বা অন্য তথ্যের উপর তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ থাকার ফলে প্রতিটি ‘চ্যাট’ ব্যবহারকারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এ কথা পরিষ্কার, নিজেদের অবস্থান এবং নীতি নিয়ে নাছোড়বান্দা এই অ্যাপ। কোনও ভাবেই তাতে বদল আনতে তারা আগ্রহী নয়। বরং এই নীতি যে আসলে ব্যবহারকারীদের ভালর জন্য, তা বোঝাতে তারা বদ্ধপরিকর।