বারান্দায় এ ভাবেই লাগানো যায় গাছ। ফাইল চিত্র
অনেকেরই বাগানের শখ। হয়তো সকলের বাড়িতে নিজস্ব বাগান বা ছাদ নেই। কিন্তু এখন বারান্দাতেও দিব্যি শাক-সব্জি ফলাচ্ছেন অনেকে। তবে গরমকালে রোদের তাপ অনেকটা বেড়ে যায়। মাটি সহজেই রুক্ষ হয়ে আসে। তাই গাছের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। কোন জিনিসগুলো মাথায় রাখবেন এই সময়ে?
১। গাছের শুকনো পাতা নিয়মিত কেটে ফেলুন। কোনও পাতার ডগা শুকিয়ে গেলে সেই অংশটা কেটে ফেলুন। কারণ সেই অংশে পুষ্টি জোগাতে গাছ দ্বিগুণ খাটবে। এবং তাতে বাকি গাছের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে পড়বে।
২। যে গাছের পাতাগুলো বড়, যেমন রবার গাছ বা ফিড্ল লিফ প্ল্যান্ট, এদের এই মরসুমে ঘরের ভিতবে নিয়ে যান। এমন জায়গায় রাখুন যেখানে রোদ ঢুকবে, কিন্তু খুব কড়া প্রকোপ হবে না। বাইরের বাতাস এই সময়ে শুকনো হয়ে আসে। যত বড় পাতা, সুস্থ থাকতে তার তত আর্দ্রতা প্রয়োজন। তাই কড়া রোদে না রেখে, ঘরের ভিতরে রাখাই ভাল।
৩। বাড়ির গাছের বেগুন কিংবা ঢ্যাঁড়স খেতে চান, এটাই সেরা সময়। ছোট ছোট টব নিন। কাদামাটি না দিয়ে কোকোপিট দিয়ে টবগুলো ভরে ফেলুন। এই ধরনের মাটি যেহেতু খুব আলগা, তাই বীজ থেকে গাছ গজাবে সহজেই। এক ইঞ্চি গভীরে গাছের বীজ পুতুন। এর পরে ভাল করে জল দিয়ে একটা আলাদা জায়গায় প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখুন। এক সপ্তাহ পর যখন দেখবেন ৪-৫টা পাতা হয়েছে তখন বড় টবে গাছগুলো ফের বসাতে হবে। এবার কোকোপিটের সঙ্গে গাছের পুষ্টির জন্য সার এবং অন্য মাটিও মেশাতে হবে। তার পরে নিয়মিত পরিচর্যা করুন। সব্জি হবে নিজ সময়ে।
৪। পুদিনা পাতা, ইতালীয় বেসিল, ধনেপাতাও লাগাতে পারেন। এগুলো আলাদা টবে পুতে পরে বড় জায়গায় সরাতে হবে না। একবারেই বড় পাত্রে পুতে ফেলুন।
৫। ঠিক সময়ে সব্জি পেতে চাইলে আপনাকে সেই অনুযায়ী বাগানের পরিকল্পনা করতে হবে। কোন সব্জি হতে কতদিন লাগে, সেটা আগে থেকে জেনে নিন। সেই মতো বীজ লাগান।
৬। গাছের বীজ অনলাইনে কিনতে পারেন। বা পারার নার্সারি থেকেও কিনতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন বীজে পোকা না থাকে। কারণ পোকা থাকলে একবারে বীজ থেকে গাছ তো গজাবে না-ই, উল্টে পোকা-মাকড় অন্য গাছের ক্ষতি করতে পারে। পোকার হাত থেকে গাছ বাঁচাতে নিম তেল স্প্রে করতে পারেন।