—প্রতীকী চিত্র।
কর্মক্ষেত্রে নানা ওঠাপড়া উদ্বেগ, মানসিক অবসাদের অন্যতম কারণ। কর্মক্ষেত্রে যে কারণগুলি সবচেয়ে বেশি ভাবায়, তার মধ্যে অন্যতম হল বসের সঙ্গে মতের অমিল হওয়া। বসের সব কথাই আপনার মনের মতো হবে, এমন ভাবার কারণ নেই। মানুষভেদে ভাবনা বা চিন্তাধারা আলাদা হবেই। তবে বস যে সব সময়ই ঠিক সিদ্ধান্ত নেন, তা-ও নয়। আপনি যে বসের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন, সেটাও বসকে জানানো জরুরি। কিন্তু তাঁর মুখের উপর সে কথা বলে দিলে তিনি রেগে যেতে পারেন কিংবা বিরক্ত হতে পারেন। আবার না বললেও সমস্যা! জেনে নিন, কোন কায়দায় বসের সামনে কথাটি রাখলে তাঁর রাগও হবে না, আর আপনার কাজও হয়ে যাবে।
তর্ক নয়: ভুলেও বসের সঙ্গে অযথা তর্ক করবেন না। বসের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আপনি কেন সহমত হতে পারছেন না, সেই যুক্তিগুলি নিজের কাছে সবার আগে তৈরি রাখুন। বসকে বোঝানোর আগে নিজের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হতে হবে।
মাথা ঠান্ডা রাখুন: আলোচনার সময় উত্তেজিত হয়ে পড়লেই কিন্তু মুশকিল! মেজাজ হারালে চলবে না। আপনার যুক্তির সাপেক্ষে বসও যুক্তি দিতে পারেন। বসের সঙ্গে তর্কে না গিয়ে মন দিয়ে সেই কথাগুলি ভাল করে বোঝার চেষ্টা করুন। হতেই পারে, আপনার বসের কথাটাই আসলে ঠিক। ভেবেচিন্তে তবেই সিদ্ধান্তে আসুন।
সঠিক সময়ের অপেক্ষা করুন: সময়-সুযোগ বুঝে কথা বলুন। কনফারেন্স রুমে ঘরভর্তি লোকের সামনে আপনি বসের সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না, সেই কথা ভুলেও বলতে যাবেন না। কখনও একান্তে যখন দেখবেন, বসের মন-মেজাজ ভাল আছে, তখন এই বিষয়ে সঙ্গে কথা বলুন।
যুক্তি তৈরি রাখুন: ‘বস্, আপনার সঙ্গে আমি সহমত হতে পারছি না’— এই কথাটা তখনই বলুন, যখন আপনি পাল্টা যুক্তি দিতে তৈরি। ঠান্ডা মাথায়, নীচু গলায় আপনার যুক্তিগুলি বসের সামনে তুলে ধরুন। মনে রাখবেন, বস্কে ছোট করা আপনার উদ্দেশ্য নয়, আপনার যুক্তিগুলি যে ভুল নয়, সেটাই তাঁকে বোঝাতে হবে।
মধ্যস্থতায় আসুন: এমন পরিস্থিতি আসতেই পারে, যখন বস্ আপনার কথা কিছুতেই মানতে চাইছেন না! এ রকমটা হলে জেদ ধরে বসে থাকলে চলবে না। কাজের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেই যু্ক্তি বসের সামনে রেখে মাঝামাঝি কোনও পথ খোঁজার চেষ্টা করুন। আপনি কী ভাবে সেই কথাটি বসের সামনে তুলে ধরছেন, তাতেই আপনার বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ পাবে।