কারও লক্ষ্য ফিটনেস, কারও রয়েছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিধিনিষেধ, কেউ আবার বয়সজনিত কারণে খাদ্যতালিকায় এনেছেন পরিমিতি। সব মিলিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিভিন্ন ডায়েট। সেগুলির মধ্যে আবার ভেজিটেরিয়ান বা ভিগান ডায়েট পছন্দ করেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়।
নিরামিষ ডায়েট কত রকম
মাছ ও মাংসবিহীন ডায়েটকেই ভেজিটেরিয়ান ডায়েট বলা হয়। এর মধ্যে আবার রয়েছে আরও ভাগ। যেমন ল্যাকটো-ভেজিটেরিয়ান, যাঁরা মাছ-মাংস না খেলেও দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খান। ওভো-ভেজিটেরিয়ানদের ডায়েটে আবার রয়েছে ডিম। ওভো-ল্যাকটো ভেজিটেরিয়ানরা ডিম-দুধ, দুই-ই খান। এর সঙ্গে রয়েছে ভিগান, যাঁরা খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন মাছ, মাংস ও যে কোনও পশুজাত খাদ্য যেমন দুধ, দই বা পনিরও। তবে এই আলোচনা ওভো-ভেজিটেরিয়ান ডায়েট নিয়ে।
এই ডায়েটে কী কী খাওয়া যায়
যে কোনও আনাজ, শস্য, ডালজাতীয় খাবার এবং ফল খাওয়া যায় এই ডায়েটে। এর পাশাপাশি খাওয়া যাবে ডিম, মেয়োনিজ় এবং ডিম দিয়ে তৈরি কেক-পেস্ট্রিও।
এই ডায়েটের সুবিধে
পুষ্টিবিদ সুবর্ণা রায়চৌধুরী বলছেন, “ওভো-ভেজিটেরিয়ান ডায়েটে গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রোটিন। সাধারণত, রোজ দেহের প্রতি কেজি ওজন পিছু ১ গ্রাম করে প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দেহের ওজন, পেশির গঠনে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” কিন্তু অনেকেরই দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি থাকে বা হজমের সমস্যা দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে তাঁদের দেহে দেখা দিতে পারে প্রোটিনের ঘাটতি। সুবর্ণার পরামর্শ, “যাঁরা নিরামিষ ডায়েটে আছেন, কিন্তু দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে সুবিধেজনক হতে পারে ওভো-ভেজিটেরিয়ান ডায়েট। কারণ ডিম থেকে পাওয়া যায় প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। ডিম সহজপাচ্য, সহজলভ্য একটি প্রোটিনের উৎস। প্রোটিন ছাড়াও ডিমে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিনস ও মিনারেলস থাকে। হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা থাকলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খেতে পারেন সাদা অংশটি।”
সুবর্ণার কথায়, সুস্বাস্থ্যের প্রথম কথা হল নিজের শরীর অনুযায়ী পরিমিত, ব্যালান্সড খাদ্যাভ্যাস। তাই যে কোনও ডায়েট মেনে চলার আগে দরকার পুষ্টিবিদের পরামর্শ।