নিজেকে সুন্দর রাখতে মাঝেমাঝেই উপোস করতেন শ্রীদেবী। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা রকম উপাদানের মধ্যে একটি হল সোডিয়াম। তবে অত্যধিক পরিমাণে সোডিয়াম শরীরে প্রবেশ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কম বয়সেও স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের কারণে অকালমৃত্যুর ঘটনা কম ঘটেনি। সেই কারণে স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই খাবারে নুন কম খাওয়ার অভ্যাস করেন। তবে পেশার তাগিদে হঠাৎ চেহারায় পরিবর্তন আনতে নায়ক-নায়িকারা এই ধরনের কঠিন ডায়েট করে থাকেন। সম্প্রতি অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মৃত্যু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর স্বামী প্রযোজক বনি কপূর জানিয়েছিলেন, নিজেকে সুন্দর রাখতে মাঝেমাঝেই উপোস করতেন শ্রীদেবী। শুটিং চলাকালীন বেশ কয়েক বার অচৈতন্য হয়ে পড়ে যাওয়ার খবরও মেলে। মৃত্যুর সময়ে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল কি না, তা যদিও জানা যায়নি। কিন্তু তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। চিকিৎসেকরা বলছেন, হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে বা শরীরে পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি থাকলেও এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। মৃত্যুর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
রক্তে সোডিয়াম কমে গেলে আর কী কী সমস্যা হতে পারে?
১) ইনসুলিন রেজ়িসট্যান্স বেড়ে যেতে পারে
খাবার খাওয়ার পর ইনসুলিন হরমোনের সঙ্কেত পেয়েও রক্ত থেকে গ্লুকোজ়, অন্যান্য পুষ্টিগুণ শোষণ করতে পারে না দেহের কোষগুলি। ফলে ইনসুলিনের রেজ়িসট্যান্স বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নুন কম খেলে বা একেবারেই না খেলেও রক্তে ইনসুলিন রেজ়িসট্যান্সের ক্ষমতা কমে বেড়ে যেতে পারে। ফলে টাইপ ২ ডায়াবিটিস, হার্টের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
২) হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি
রক্তে সোডিয়ামের অভাবে হৃদ্যন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। শরীরের দূষিত রক্ত পাম্প করে পরিস্রুত রক্ত শরীরে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে বাধা পড়লেই প্রাণের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৩) হাইপোনেট্রিমিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেশি
রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে গেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছলে কোমার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যা হাইপোনেট্রিমিয়া নামে পরিচিত। তবে শুধু খাবারে নুন কম খাওয়া নয়, বেশি জল খেলেও কিন্তু একই রকম সমস্যা হতে পারে।
৪) খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে
দীর্ঘ দিন ধরে নুন কম খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নুন কম খাওয়া, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ যথাক্রমে ৪.৬ এবং ৫.৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
৫) ডায়াবিটিস থাকলে ভয় বেশি
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন, এমন মানুষদের রক্তে হঠাৎ সোডিয়ামের মাত্রা কমে গেলে বিপদের আশঙ্কার সবচেয়ে বেশি।