ছবি: সংগৃহীত।
গোটা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন থেকে হিমবাহের বরফ গলে যাওয়া— সবের নেপথ্যে রয়েছে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাব। জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা বিপদসীমার উপরে উঠে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে মানবজীবনে। তবে এই গ্যাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে মানুষই। নিয়মিত অফিসে যান যাঁরা, তাঁদের তুলনায় বাড়ি বসে কাজ করেন যে সব কর্মীরা, এ ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকা বেশি। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন তাঁরা, যাঁরা বাড়িতে বসে কাজ করেন।
পরিবেশে গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অফিসযাত্রী, বাড়ি থেকে কাজ করা কর্মী এবং যাঁরা দুই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত, তাঁদের সকলের প্রভাব কেমন সেই বিষয়ে বিশদে জানতে আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাইক্রোসফ্ট-এর গবেষকেরা। সেই সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স’।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাড়িতে বসে কাজ করলে পরিবেশে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমে আসতে পারে। কর্মস্থলে যেতে কর্মীরা যানবাহন ব্যবহার করেন। তা থেকে নির্গত নাইট্রাস অক্সাইড এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবেশে গ্রিন হাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই যানবাহনের ব্যবহার কমাতে পারলে পরিবেশের ক্ষতি অনেকটাই আটকানো যায়। প্রতি দিন না হলেও অন্তত পক্ষে সপ্তাহে ৪ দিন বাড়ি থেকে কাজ করতে পারলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।