শরীরচর্চা না করলেও কি খেতে পারেন প্রোটিন ড্রিঙ্ক? ছবি: সংগৃহীত
রোজ রোজ প্রোটিন ড্রিঙ্ক খান? শরীরচর্চা করলে খেতেই পারেন। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে যাঁরা ‘ওয়েট লিফটিং’য়ের মাধ্যমে পেশি তৈরি করতে চান, তাঁদের নিয়মিত প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়া উচিত। কারণ পেশি তৈরির এই প্রক্রিয়াতে প্রথমে পেশির তন্তুগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারপরে সেটা পুনর্গঠনের জন্য অতিরিক্ত প্রোটিনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ব্যক্তিবিশেষে প্রত্যেকের প্রোটিন গ্রহণ করার পরিমাণ কিন্তু আলাদা। একজন মানুষের কতটা প্রোটিন প্রয়োজন, তা তাঁর শরীর-স্বাস্থ্য, বয়স এবং তিনি কতখানি শরীরচর্চা করছেন তার উপরেই নির্ভর করছে।
রোজ শরীরচর্চা না করেও প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়া যায় কি?
রোজ শরীরচর্চা না করে কেবল প্রোটিন ড্রিঙ্ক খেয়ে ওজন কমাতে চাইছেন? তা হলে কিন্তু একটু সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ আপনার খাদ্যতালিকায় নিশ্চয়ই থাকছে দুগ্ধজাত দ্রব্য, শাক এবং বীজ। এগুলি প্রত্যেকটিতেই প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। এর সঙ্গে যদি আবার প্রোটিন ড্রিঙ্ক খান, তা হলে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে যাবে। এর ফলে কিডনির সমস্যাও হতে পারে। একান্তই যদি রোজ শরীরচর্চা না করে প্রোটিন ড্রিঙ্ক খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তা হলে তার সঙ্গে খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে তাজা ফল, সব্জি, হোল গ্রেন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখতেই হবে। সেইসঙ্গে অন্তত প্রতিদিন ২ লিটার জল খান।
কী ভাবে খাবেন প্রোটিন ড্রিঙ্ক
কী ভাবে খেতে পারেন?
ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েটে অতিরিক্ত প্রোটিন যোগ করতে হলে কোনও কোনও দিন সকালে প্রোটিন শেক বানিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীর কর্মক্ষমতা থাকবে। কিন্তু তা হলে অন্তত সে দিনের জন্য প্রাতরাশ বাদ দিতে হবে। তবে ভারী খাবার একেবারেই বন্ধ করবেন না। এ ছাড়া সমস্যার বিষয় সব ধরনের পানীয়তেই কিন্তু ক্যালোরি থাকে, প্রোটিন ড্রিঙ্কও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই শরীরচর্চা করলেই এটি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই ড্রিঙ্ক পেশিকে শক্তি যোগায়।
তবে শরীরচর্চা না করে দীর্ঘ দিন প্রোটিন ড্রিঙ্ক খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে ওজন বাড়ার পাশাপাশি হাইপার অ্যামাইনোঅ্যাসিডেমিয়া, বমিভাব, ডায়রিয়া ও কিডনির সমস্যা হতে পারে।