মহুয়া মৈত্র আর তাঁর প্রিয় সরপুরিয়া
বয়স যেন কমছে! কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সৌন্দর্যের পিছনে রহস্য কী? কী খান তিনি সারা দিনে? আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে মহুয়াকে প্রশ্ন করেছিলেন এক নেটাগরিক। জবাবে মহুয়া জানিয়েছেন, রহস্য তেমন কিছু নয়। তিনি বাইরের খাবার তেমন খান না। বেশির ভাগ সময়ে বাড়ির কম তেল-মশলায় রান্না করা খাবারই খান। সঙ্গে প্রচুর জল। এবং ঘন ঘন গরম জল।
খাওয়ার পর গরম জল খাওয়ার পরামর্শ অনেক পুষ্টিবিদই দিয়ে থাকেন। যদি শরীরের বিপাক হার বাড়াতে চান, তা হলে যে কোনও খাবার খাওয়ার পরেই এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেতে পারেন, তাতে উপকার মিলবে। এর ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজমও হবে। অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই এই নিয়ম মেনে চলেন ছিপছিপে শরীর ধরে রাখার জন্য। মহুয়াও সেই পথ নিয়েছেন।
কিন্তু মহুয়ার কি কোনও ‘চিট মিল’ নেই? অবশ্যই রয়েছে। ফেসবুক লাইভে তিনি জানিয়েছেন, একমাত্র নির্বাচনী প্রচারের সময়ে খুব বুঝেশুনে খান। বাকি সময়টা দিব্যি সব রকম খাবারই চলে। তাঁর বিদেশি কেক-পেস্ট্রির প্রতি তেমন মোহ না থাকলেও বাংলার মিষ্টির প্রতি একটি দুর্বলতা রয়েছে। মিষ্টি খেতে ভীষণ ভালবাসেন। পাঁঠার মাংসও চলে মাঝেমধ্যে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে ভোলেন না। ধূমপান বা মদ্যপানের প্রতি কোনও রকম আসক্তি নেই। এবং চেষ্টা করেন প্রত্যেক দিন ঠিক সময়ে ঘুমানোর।
কৃষ্ণনগর মহুয়ার কর্মস্থান। তার মানে প্রচুর সরপুরিয়া-সরভাজা খেয়েছেন নিশ্চয়ই? প্রশ্ন শুনে হাসতে হাসতে মেনে নিলেন মহুয়া, তা খেয়েছেন! কিন্তু পাশাপাশি মনে করালেন, শুধু কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া বা নবদ্বীপের দই-ই নয়, নদিয়া জেলার প্রত্যেকটা গ্রামে অনেক ভাল ভাল মিষ্টি রয়েছে। যেগুলি তেমন প্রচার পায় না। ‘‘ধুবুলিয়ার ক্ষীরসাগর, করিমপুরের ক্ষীরমালাই, নিখুঁতি এবং আরও অনেক মিষ্টি নদিয়া জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। আমি সকলকে জানাতে চাই, নদিয়ার প্রত্যেকটি গ্রামে এক জন করে ময়রা রয়েছেন, যাঁদের মিষ্টি সেখানকার বৈশিষ্ট্য। আমি সকলকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই, এসে সে সব মিষ্টিও খেয়ে যান,’’— বললেন মহুয়া।
মহুয়ার মতো গ্ল্যামারাস চেহারা ধরে রাখতে চান, তা হলে তার পিছনে অনেকটা পরিশ্রম করতে হবে বইকি!