আলু পোস্ত ছবি: সংগৃহীত
পোস্ত ছাড়া বাঙালি রান্না কি জমে? আলু পোস্ত, পোস্তর বড়া, পোস্ত সিদ্ধ, নকশা-বড়ি, আলু-ঝিঙে পোস্ত, চিংড়ি পোস্ত— এমন অগুনতি পদ রয়েছে যা পোস্ত ছাড়া চলে না। এমনকি শুক্তোও ভাল করে রাঁধতে গেলে তাতে পোস্ত দেওয়া হয়। কিন্তু বাঙালির সেই সাধের উপকরণের দাম এখন আকাশছোঁয়া। প্রায় ৩১০০ টাকা কেজি! আমবাঙালির ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাহলে কী করা যায়? এই পদগুলি কি রান্না থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে? তা কেন? আপনার হেঁসেলেই রয়েছে বিকল্প কিছু উপকরণ। যা রান্নায় দিলে অনেকটা একই রকম স্বাদ বজায় রাখতে পারবেন। জেনে নিন সেগুলি কী।
বাদাম বাটা
চিনে বাদাম অনেকটাই সস্তা। তাই কোনও রান্নায় পোস্তর বদলে চিনে বাদাম বেটে দিতেই পারেন। বিশেষ করে শুক্তোর মতো তরকারিতে। মাছের ঝোল বা কালিয়ার মতো রান্নায় আমরা সাধারণত পোস্ত ব্যবহার করি ঝোল গাঢ় করার জন্য। সে ক্ষেত্রে কাজু বাটা খুব ভাল বিকল্প। তবে কাজুর দামও নেহাত কম নয়। তাই এই রান্নাগুলি বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্যেই তুলে রাখুন।
চারমগজ
সাদা তিল বাটা
তিন বাটা আর পোস্ত বাটা যে অনেকটাই এক রকম খেতে লাগে, তা কি জানা ছিল? শুধু স্বাদ নয়, গুণেও তিল অনেকটা এগিয়ে। বিশেষ করে ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য তিল দারুণ উপকারি। মেয়েদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা হরমোনের গোলমালের ক্ষেত্রেও তিল খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
চারমগজ বাটা
চারমগজ বাটা পোস্তর সঙ্গে ব্যবহার করার চল অনেক আগে থেকেই আমাদের মা-ঠাকুমাদের মধ্যে ছিল। পোস্তর দাম বরাবরই বেশি। তাই পোস্ত কম ব্যবহার করার জন্য সঙ্গে চারমগজ বেটে রান্না দিতেন তাঁরা। চারমগজ আদপে সাদা রঙের এক ধরনের বীজ। স্বাস্থ্যের পক্ষেই উপকারি। অনেক চিকিৎসক এমনিও খেতে বলেন। তবে পোস্তর বিকল্প হিসাবে আপনি চারমগজ বাটা ব্যবহার করতেই পারেন। কোনও রান্নায় পোস্তর বদলে কাজুবাটা ব্যবহার করলে তার সঙ্গে চারমগজ বেটেও দিতে পারেন। তাহলে কাজু পরিমাণে কম লাগবে। এবং স্বাদও বজায় থাকবে।