প্রতীকী ছবি।
গ্রীষ্মকালে নানা ধরনের ফলই ওঠে। আমের রাজকীয় উপস্থিতিতে সে সবের কথা অনেক সময়ে আলোচনায় কম আসে। কিন্তু স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে গেলে আর একটি গরমের ফলকে একটুও অবহেলা করলে চলবে না। কীসের কথা হচ্ছে বলুন তো? ঠিকই ধরেছেন। কাঁঠাল!
কাঠালের কথা শুনে একদলের নাক-মুখ এক্কেবারে কুঁচকে গিয়েছে। আর এক দলের হাসি মুখ। কাঁঠাল নিয়ে যে কোনও চর্চা এমনই হয়। কেউ এই ফল খুব পছন্দ করবেন, আর কেউ এর গন্ধ পেলে সে বাড়িতে আর ঢুকবেনই না। কিন্তু তাতে কাঁঠালের খাদ্যগুণ কমে না। তবে যাঁরা এই ফলটি পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্যও একটি উপায় রয়েছে। তা হল কাঁঠালের বীজ। তাতে নেই কাঁঠালের গন্ধ। এ দিকে খাদ্যগুণে ভরপুর। ঘরে কাঁঠাল ঢোকাতে না চাইলেও অসুবিধা নেই। বাজারে আলাদা করেও কিনতে পাওয়া যায় কাঁঠালের বীজ।
প্রতীকী ছবি।
কী কী গুণ আছে কাঁঠালের বীজে?
১) খাদ্যের নানা উপাদান একসঙ্গে প্রবেশ করবে শরীরে। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন— সব আছে এই খাবারে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া অতি জরুরি।
২) ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে। সঙ্গে হজমের সুবিধাও হয়। হজম প্রক্রিয়া ভাল হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।
৩) ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারি। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।
৪) চোখের জন্যও উপকারি কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির যত্ন নেয়।
রোদে ভাল ভাবে শুকিয়ে নিয়ে হবে এই বীজ। তেল ছাড়া কড়াইয়ে হাল্কা করে নেড়ে মুগ ডালে দিয়ে খাওয়া যায়। ঘিয়ে ভেজে নুন ছড়িয়ে বিকেলের চায়ের সঙ্গে খেতেও ভাল লাগে কাঁঠালের বীজ। দেওয়া যায় পাঁচ মিশেলি তরকারিতেও।