দুনিয়ার কিছু কিছু শহর এমনই বিচিত্র যে বিশ্বাস করা মুশকিল! কোনও শহর হয়তো খুবই ছোট, কোনওটার আবার আদপ-কায়দাই একদম আলাদা।
মৃত্যু নিষিদ্ধ: লংইয়ারবায়েন শহরের উত্তরে রয়েছে সালবার্ড অঞ্চল। শহরে একটি কবরস্থান রয়েছে বটে। কিন্তু ৭০ বছর ধরে তা ব্যবহার করা হয়নি। আইনত এই শহরে মৃত্যু নিষিদ্ধ। কারণ এখানকার আবহাওয়া এতই ঠান্ডা যে কোনও দেহে পচন ধরে না। তাই জন্তু-জানোয়ার সহজেই আকৃষ্ট হয়।
দু’দেশের শহর: একটাই শহর অবস্থিত দুই দেশে! শুনতে অবাক লাগলেও এমন হয়। বুজিংহেম আম হোরখায়েন জার্মান শহর হলেও সুইৎজারল্যান্ডে অবস্থিত। অর্থনৈতিক ভাবে সুইৎজারল্যান্ডের অধীনে পড়লেও, প্রসাশনিক নিয়ম-কানুন জার্মানিরই মেনে চলা হয় এখানে
মর্তে নরক: মিশিগানের এক শহরের নাম ‘হেল’। কেন কেউ একটি শহরকে নরক হিসেবে চিহ্নিত করেছিল জানা নেই। কিন্তু এই শহরের বাসিন্দারা এই নাম ভালইবাসেন।
চিনে অস্ট্রিয়ার শহর: যে কোনও জিনিস নকল করে সস্তায় বিক্রি করতে চিন পারদর্শী। কিন্তু একটি গোটা শহর যে তারা নকল করে ফেলেছে, ক’জনই বা জানেন। অস্ট্রিয়ার হলস্ট্যাট শহর হুবহু তৈরি করা হয়েছে চিনের মাঝে।
স্বাধীন শহর: ক্যালিফোর্নিয়ার স্ল্যাব শহরে প্রচুর হিপ্পি, ভবঘুরের বাস। এমন অনেকে ওখানে গিয়ে বাস করেন যাঁদের আর কোথাও যাওয়ার নেই। শহরে নেই কোনও বিদ্যুৎ বা পানীয় জলের ব্যবস্থা। অন্য কোনও পরিষেবাও মজুত নেই। কিন্তু নেই কোনও রকম কর বা ভাড়া দেওয়ার চলও! শুনলে মনে হবে, এখানে থাকার অনেক ঝামেলা, কিন্তু বাসিন্দারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বলা হয় এটি পৃথিবীর শেষ স্বাধীন শহর।
গুহায় শহর: তিউনিশিয়ার মাতমাতা শহরে বেশির ভাগ মানুষ গুহার মধ্যেই থাকেন। ১৯৭০ সালে এই শহরে কিছু পাকা বাড়ি বানানো হয়েছিল বটে। কিন্তু এখনও বেশির ভাগ মানুষ গুহার মধ্যেই থাকতে পছন্দ করেন।
বহুতলে শহর: আলাস্কার হুইটিয়ার শহর গোটাটাই অবস্থিত একটি ১৪ তলা বহুতলে। সেখানে রয়েছে একটি গির্জা, দোকান-বাজার, থানা এবং হাসপাতালও!
নীল শহর: মরোক্কোর শিফশাউয়েন শহর পুরোটাই নীল! নীলের নানা শেডে রাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা শহরটিকে। শোনা যায়, ইহুদিরা এখানে বসবাস করতেন, যাঁদের কাছে নীল খুবই পবিত্র রং।
ভিনগ্রহীদের শহর: ১৯৪৭ সালে নাকি নিউ মেক্সিকোর রোজওয়েল শহরের বাইরে এক উড়ন্ত চাকি নেমে এসেছিল। তথ্য নিয়ে যতই বিতর্ক হোক, এখনও এই শহরে ভিনগ্রহীদের নিয়ে উৎসাহ কম নেই। প্রচুর উৎসব হয় ভিনগ্রহীদের ঘিরেই। এমনকি, এখানকার রেস্তরাঁগুলি সাজানো হয় এই আমেজেই।
সমুদ্রে শহর: তেলের খনির দেশ আজারবাইজান। সমুদ্রের উপর ধাতব মঞ্চের উপরই অবস্থিত গোটা শহর নেফ্ট দাশলেরাই। এই শহরে কোনও বাসিন্দা নেই। কিন্তু রোজ প্রায় ২০০০ মানুষ এখানে কাজ করতে আসেন।
পাথরে শহর: বিশাল একটি আগ্নেয়শিলার উপর একটি গোটা শহর! স্পেনের সেটেনিল ডে লাস বদেগাস দেখতে সারা পৃথিবীর লোক ভিড় করেন।