প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ব্রিটেনে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বাড়ি থেকে কাজ করছেন এমন ২০৬৬ জন ব্যক্তির মধ্যে ৭৩ শতাংশের জুম মিটিং নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রত্যেকদিন। অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজ করছেন অনেকেই। সহকর্মীদের সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ এখন জুম মিটিংয়েই হচ্ছে। ভিড় অফিসে যেতে হচ্ছে না বলে করোনা নিয়ে যেমন উদ্বেগ কমেছে, অন্য দিকে জুম মিটিং নিয়ে অনেকরই মধ্যেই একটা ভীতি তৈরি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যত জুম মিটিংয়ের সময় এগিয়ে আসে, তত মানসিক চাপ বেড়ে যাচ্ছে, হাত-পা ঘামছে, কোনও কাজে মন বসানো যাচ্ছে না, গলা শুকিয়ে আসছে। আপনারও কি এই সমস্যাগুলো হয়? কী ভাবে সমাধান করবেন, জেনে নিন।
কেন উদ্বেগ বাড়ছে
বোঝার চেষ্টা করুন ঠিক কোন কারণে আপনার জুম মিটিংয়ের সময় হলেই উদ্বেগ বাড়ে। অনেকগুলো কারণ হতে পারে।
১। যান্ত্রিক গোলাযোগের আশঙ্কা
২। নিজের কথা স্পষ্ট করে না বুঝিয়ে উঠতে পারার ভয়
৩। অন্যদের কথা বলার ধরন ধরতে না পারার দুশ্চিন্তা
৪। বাড়ির কোনও সদস্যের সেই সময়ই আপনাকে প্রয়োজন পড়ার উৎকণ্ঠা
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কী করবেন
১। জুম মিটিংয়ে কোন ধরনের যান্ত্রিক গোলাযোগ হতে পারে দেখে নিন ইউটিউবে। সেগুলোর কী ভাবে সমাধান করতে হবে, পেয়ে যাবেন নির্দেশ।
২। পরিষ্কার শব্দে জোর গলার কথা বলার অভ্যাস করুন, যাতে মিটিংয়ে আপনাকে ছাপিয়ে অন্য কেউ কথা বলা শুরু না করে দিতে পারেন।
৩। জুম মিটিংয়ের সময় অন্য কাজ করবেন না। মনোযোগ দিন। যাতে কেউ কোনও প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে গিয়ে নাজেহাল না হতে হয়। নোট রাখুন সাধারণ মিটিংয়ের মতোই। কোনও কিছু পরিষ্কার না হলে প্রশ্ন করুন। তাতে আপনার উপস্থিতি নিয়ে কোনও রকম সন্দেহ থাকবে না।
৪। খুব দীর্ঘ মিটিং চললে, বা একটানা একাধিক মিটিং চললে হাঁপিয়ে যেতেই পারেন। অনুমতি নিয়ে একটু কম্পিউটারের পরদা বন্ধ রাখুন দু’মিনিট। চেয়ার ছেড়ে উঠে সামান্য হাঁটাহাঁটি করে নিন।
৫। ইন্টারনেট কানেকশন ঠিক মতো কাজ করবে কি না, এই নিয়ে সকলেই কমবেশি চিন্তায় থাকেন। কিন্তু যদি আপনার বাড়ির কানেকশনের গতি খারাপ না হয়, শুধু শুধু এই বিষয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। কোনও সময় মিটিং থেকে বেরিয়ে যেতে হলে অন্য সহকর্মীদের পরে জিজ্ঞেস করে নিন, কোনও জিনিসগুলো আপনি শুনতে পেলেন না।
৬। জুম মিটিং নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ হলে আপনি সহকর্মীদের সঙ্গে সেই বিষয়ে আলোচনা করুন। হতেই পারে তাঁদেরও একই সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা ভাগ করে নিলে মন অনেকটা হাল্কা হবে।